—ফাইল চিত্র।
বিরাট কোহলীরা যে বিলেতের মাটিতে লড়াই শুরু করলেন, মিতালি রাজরা সেখানেই শেষ করলেন। ইংল্যান্ড মহিলা দলের বিরুদ্ধে সিরিজের এক মাত্র টেস্ট ড্র করে দিল ভারতের মহিলা দল। শেষ দিন হারা ম্যাচ ড্র করার কৃতিত্ব স্নেহ রানার। তাঁকে সাহায্য করেন তানিয়া ভাটিয়া। ইংল্যান্ডের ৯ উইকেটে ৩৯৬ রানের জবাবে ভারতের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২৩১ রানে। ফলো অন করে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত করে ৮ উইকেটে ৩৪৪ রান।
আট নম্বরে নেমে রানা ৮০ রান করে অপরাজিত থাকেন। দশ নম্বরে নামা তানিয়া ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। অবিচ্ছিন্ন নবম উইকেটে ১০৪ রান যোগ হয়। রানার ১৫৪ বলের ইনিংসে ১৩টি চার রয়েছে। তানিয়ার ৮৮টি বলের ইনিংসে ৬টি চার রয়েছে। অভিষেক টেস্টে রানা রেকর্ড করেন। ভারতের প্রথম মহিলা ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক ম্যাচেই ৫০-এর বেশি রান ও ইনিংসে ৪টির বেশি উইকেট নিলেন। সব মিলিয়ে বিশ্বে চতুর্থ মহিলা ক্রিকেটার হিসেবে এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন তিনি।
তাৎপর্যপূর্ণ তথ্য হল, রানা ভারতীয় বোর্ডের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের তালিকাতেই জায়গা পায়নি। গত ১৯ মে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ১৯ জনের সঙ্গে যে চুক্তি করেছে, সেখানে জায়গা হয়নি রানার। এখনও বোর্ডের কাছে ব্রাত্যই রয়েছেন দেহরাদুনের ২৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
ফলো অন করে ১ উইকেটে ৮৩ রান নিয়ে শনিবার শেষ দিনের খেলা শুরু করে ভারত। ইনিংস হার এড়াতে তখনও ভারতের দরকার ছিল ৮২ রান। শেফালি বর্মা ও দীপ্তি শর্মা উইকেটে ছিলেন। এই জুটি ভাঙতে ইংল্যান্ডকে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি। দিনের পঞ্চম ওভারে শেফালিকে (৬৩) ফিরিয়ে দেন সোফি একলেসটোন। আগের দিনের রানের সঙ্গে ৮ রান যোগ করেন তিনি।
এরপর দীপ্তি ও পুনম রাউত ভারতকে টানতে থাকেন। দুজনে তৃতীয় উইকেটে ৭২ রান যোগ করেন। আবার জুটি ভাঙেন একলেসটোন। তিনি ফেরান দীপ্তিকে। ৫৪ রান করেন তিনি। তাঁর ইনিংসে ৮টি চার।
দীপ্তি আউট হওয়ার পরেই ভারতীয় ইনিংস মুখ থুবড়ে পড়ে। মাত্র ২৮ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারায় ভারত। ব্যাটিংয়ের দুই মূল স্তম্ভ মিতালি রাজ ও হরমনপ্রীত কৌর দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ। মিতালি ৪ ও হরমনপ্রীত ৮ রান করেন। প্রথম ইনিংসে মিতালি ২ ও হরমনপ্রীত ৪ রন করেন। ভারতের হার যখন অনেকটাই নিশ্চিত, তখন সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত ভাবে ম্যাচ বাঁচিয়ে দেন রানা এবং তানিয়া।