দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচ জিতল শ্রীলঙ্কা। ছবি টুইটার
বুধবারের ভারতীয় দলে ছিল অনেক নতুন নাম, তবে কেউই তা দেখে চমকে যাননি। তৃতীয় একদিনের ম্যাচের মতো পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নয়, ভারত বুধবার চার নতুন মুখকে জায়গা দিয়ে কোনও মতে প্রথম একাদশ তৈরি করেছিল। কারণ তাদের দ্বিতীয় সারির দলের আট জন ছিলেন নিভৃতবাসে।
সেই ভাঙাচোরা দলকে হারিয়েই অবশেষে টি২০ সিরিজে সমতা ফেরাল শ্রীলঙ্কা। খেলা গড়াল শেষ ওভার পর্যন্ত। কিন্তু শেষমেশ ম্যাচ বাঁচাতে পারলেন না রাহুল দ্রাবিড়ের তরুণ তুর্কিরা।
টি২০ ক্রিকেটে ভারতের হয়ে অভিষেক হল দেবদত্ত পাড়িক্কল, রুতুরাজ গায়কোয়াড়, নীতীশ রানা এবং চেতন সাকারিয়ার। অভিষেক ম্যাচেই ধবনের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন রুতুরাজ। শুরুটা তিনি ভালই করেছিলেন। প্রথম পাওয়ার প্লে-তে ম্যাচ অনেকটাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল ভারত।
কিন্তু অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে উইকেট হারালেন রুতুরাজ। দাসুন শনকাকে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন উইকেটকিপারের হাতে। ৪০ রানের মাথায় ফিরলেন ধবনও। এরপরে আর কিছুতেই ম্যাচে জাঁকিয়ে বসতে পারেনি ভারত। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে তাঁরা। দু’দিক থেকে আঁটসাঁট বোলিং করে ভারতকে ব্যাপক চাপে রেখেছিলেন ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গ এবং আকিলা ধনঞ্জয়।
শ্রীলঙ্কার বোলিংয়ে একটি অদ্ভুত জিনিস দেখা গেল। প্রথম নয় ওভারের মধ্যেই আট জন বোলারকে ব্যবহার করলেন অধিনায়ক শনকা, টি২০ ক্রিকেটে যা বিরল। তিনি নিজেও সেই তালিকায় রয়েছেন। নির্ধারিত ৪ ওভার পূরণ করেছেন মাত্র তিনজন— চামিরা, আকিলা এবং হাসরঙ্গ।
বোলিং করতে নেমে ভারতও কম লড়াই দেয়নি। শুরুতেই আবিষ্কা ফার্নান্ডো ফিরে যান। বাউন্ডারির ধারে দুরন্ত ক্যাচ নেন রাহুল চাহার। প্রথমে বল তালুবন্দি করলেও টাল সামলাতে পারেননি। বল ছুঁড়ে দেন আকাশের দিকে। বাউন্ডারির ও পারে গিয়ে নিজেকে সামলে নিয়ে এ পারে ফিরে ক্যাচ ধরেন।
এরপর কুলদীপ, বরুণ এবং রাহুল— এই স্পিন-ত্রয়ীর দাপটে রীতিমতো সমস্যায় পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ক্রিজে জমে গিয়েও উইকেটে হারান মিনোদ ভানুকা। এক সময় মনে হচ্ছিল ভারতের এই দলকেও হারাতে পারবে না শ্রীলঙ্কা। কিন্তু এক প্রান্তে ক্রিজ কামড়ে পড়েছিলেন ধনঞ্জয় ডি’সিলভা। বাকি সতীর্থরা প্যাভিলিয়নে ফিরলেও তিনি হাল ছাড়েননি। ম্যাচ গড়াল শেষ ওভার পর্যন্ত। শ্রীলঙ্কাকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়লেন ধনঞ্জয়।