হঠাৎ অন্ধকারে কলকাতা লিগ। ফাইল চিত্র
সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের একটি সিদ্ধান্তে আইএফএ-র মাথায় হাত। ফেডারেশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডুরান্ড কাপ হবে। এর ফলে অন্ধকারে কলকাতা লিগের ভবিষ্যৎ। সেই জন্য বৃহস্পতিবার লিগের ১৪টি দল নিয়ে জরুরি সভা করতে চলেছেন আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়।
এআইএফএফ প্রধান প্রফুল পটেলের সবুজ সঙ্কেত আগেই পেয়ে গিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। আগেই ঠিক ছিল আরও চার বছর কলকাতায় ডুরান্ড কাপ হবে। সেই মতো আগামী সেপ্টেম্বর থেকে কলকাতায় হবে এই প্রতিযোগিতা। শুধু তাই নয়, সেনাবাহিনীর এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে তিন প্রধান। এ দিকে ১৮ অগস্ট থেকে শুরু হবে কলকাতা লিগ। দুটি প্রতিযোগিতা একসঙ্গে চললে তিন প্রধান লিগে কী ভাবে খেলবে সেটা নিয়েই চিন্তায় আইএফএ সচিব।
বুধবার আনন্দবাজার অনলাইনকে জয়দীপ বলেন, “২০১৯ সালেও কলকাতা লিগ ও ডুরান্ড একসঙ্গে হয়েছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এ বার সেটা সম্ভব নয়। সেই সময় মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল আইএসএল খেলত না। এএফসি কাপ খেলার ব্যাপার ছিল না। সেই জন্য সমস্যা হয়নি। এ বার কিন্তু কোভিডের মধ্যে দুটি প্রতিযোগিতা আয়োজন করা বেশ কঠিন। সেটা ফেডারেশন ও ডুরান্ড কমিটির বোঝা উচিত।”
কলকাতা লিগ নিয়ে চিন্তায় সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র
লাল-হলুদ ও শ্রী সিমেন্টের মধ্যে ঝামেলা এখনও মেটেনি। ফলে এসসি ইস্টবেঙ্গলের মাঠে নামা এখনও অনিশ্চিত। এ দিকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মাঠে নামা নিয়ে সংশয় থাকায় এটিকে মোহনবাগানও লিগ খেলতে রাজি নয়। সেই বিষয়ে জয়দীপকে হুশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন সবুজ-মেরুন কর্তারা। ফলে আরও চাপে আইএফএ সচিব।
তিনি বলেন, “কলকাতা লিগ তিন প্রধানের জন্য বেঁচে আছে। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। বাকি ১১টি দলকে সম্মান জানিয়েও সেটা বলছি। তিন প্রধানের জন্যই স্পনসররা এগিয়ে এসেছে। ওরা না খেললে স্পনসর মুখ ফিরিয়ে নেবে। স্থানীয় ফুটবলার ও অনেক ছোট ক্লাবগুলির ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাবে। লিগ শেষ পর্যন্ত না হলে আইএফএ-র কর্মচারীদের বেতন দেওয়া সম্ভব নয়। সব মিলিয়ে বাংলার ফুটবল একেবারে শেষ হয়ে যাবে।”
জয়দীপের চিন্তার সঙ্গে একমত আইএফএ চেয়ারম্যান ও এআইএফএফ-এর সহ সভাপতি সুব্রত দত্ত। তিনি বলেন, “বাংলার বুকে ডুরান্ড কাপকে স্বাগত জানাই। কিন্তু কলকাতা লিগকে ধ্বংস করে অন্য প্রতিযোগিতা হবে, এটা মেনে নেওয়া কষ্টের। কারণ এই লিগের উপর অনেক মানুষের জীবন জীবিকা জড়িয়ে আছে।”
এআইএফএফ-এর সংবিধান অনুসারে কোনও রাজ্যে প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে হলে সেই রাজ্যের ফুটবল সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করতে হয়। কিন্তু এ বার ডুরান্ড কাপের সূচি নিয়ে আইএফএ-এর সঙ্গে আলোচনাই করা হল না। তবে এই বিষয়ে অবশ্য ফেডারেশনের তরফ থেকে কেউ মন্তব্য করতে রাজি নয়। শোনা যাচ্ছে সেনাবাহিনীর চাপের কাছে এই মুহূর্তে পেছনের পায়ে ফেডারেশন। ফলে লিগের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে।