প্রথম ম্য়াচে সফল পৃথ্বী। ফাইল ছবি
পরপর উইকেট হারালেও ভারতের বিরুদ্ধে মোটামুটি ভদ্রস্থ রান তুলেছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু ভারতের তরুণ ক্রিকেটারদের দাপটে সেই রান এক বারের জন্যেও নিরাপদ মনে হয়নি। প্রথম থেকে এসেই শ্রীলঙ্কার বোলারদের ঘাড়ে চেপে বসেন পৃথ্বী শ। সেই চাপ থেকে বেরোতে পারেননি শ্রীলঙ্কার বোলাররা।
২৩ বলে ৪৩ রান করে ফিরে যান পৃথ্বী। তবে তার আগে ইসুরু উদানা এবং দুষ্মন্ত চামিরার বোলিংকে তছনছ করে দেন। ন’টি বাউন্ডারি মেরেছেন পৃথ্বী। তাঁর বিধ্বংসী ইনিংসের সৌজন্যে প্রথম পাওয়ার প্লে-তে ৯১ রান তুলে ফেলে ভারত, যা ২০১৩-র পর সর্বোচ্চ।
সঙ্গত কারণেই ম্যাচের সেরার পুরস্কার দেওয়া হয় তাঁকে। পৃথ্বী জানালেন, রাহুল দ্রাবিড়ের থেকে আলাদা কোনও পরামর্শ পাননি তিনি। তাঁর কথায়, “ব্যাট করতে নামার সময় আলাদা করে কিছুই বলেননি রাহুল স্যর। আমি নিজের স্বাভাবিক খেলাই খেলেছি। চাইছিলাম বেশি করে বাউন্ডারি মারতে।”
পৃথ্বীর সংযোজন, “ব্যাটসম্যান হিসেবে আমার লক্ষ্য থাকে স্কোরবোর্ড সব সময় সচল রাখা। প্রথম ইনিংসেই বুঝেছিলাম পিচ ভাল। দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে আরও সুবিধা হয়েছে। আর জোরে বোলারদের খেলতে আমার বরাবরই ভাল লাগে।”
রবিবারের ম্যাচে মাথায় জোরে আঘাত খেয়েছিলেন পৃথ্বী। কিন্তু কনকাশন পরীক্ষার পর খেলা চালিয়ে যান। তবে ওই ঘটনা যে তাঁর মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটিয়েছিল, তা স্বীকার করে নিয়েছেন পৃথ্বী।
বলেছেন, “যে শটে আউট হলাম সেটা নিয়ে বেশ হতাশ। মাথায় আঘাত লাগার পর ফোকাস নড়ে গিয়েছিল।”