রোহিত ও ট্রেন্ট বোল্টের লড়াই দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন সহবাগ। ফাইল চিত্র
বাঁহাতি জোরে বোলারদের বিরুদ্ধে রোহিত শর্মা তেমন স্বচ্ছন্দ নন। পরিসংখ্যান এমনটাই বলছে। যদিও বীরেন্দ্র সহবাগ মনে করেন আসন্ন বিশ্ব টেস্ট ফাইনালে রোহিত ও ট্রেন্ট বোল্টের লড়াই জমে উঠতে পারে। তাই এই তারকার দ্বৈরথ দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন বীরু।
নিউজিল্যান্ডের এই বাঁহাতি জোরে বোলার আবার রোহিতের মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের সতীর্থ। ২০২০ সাল থেকে মুম্বইতে রয়েছেন। নেটে অনেকবার এই বাঁহাতি জোরে বোলারকে রোহিত সামলেছেন। তাই একে অন্যের শক্তি ও দুর্বলতা বেশ ভালই জানেন। বাইশ গজের যুদ্ধে সেই লড়াই কতটা জোরালো হয়, সেটা দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন ভারতের প্রাক্তন ওপেনার।
সহবাগ বলছেন, “ট্রেন্ট বোল্ট ও টিম সাউদি যে ভারতের ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরীক্ষা নেবে, সেটা নিয়ে আমার মনে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। ওরা দুজনই আউট সুইং ও ইন সুইং করাতে পারে। বেশ ঘাতক জুটি। তাই ভারতীয় দলকে সাবধান হতে হবে। তবে আমি তো রোহিত বনাম বোল্টের লড়াই দেখার জন্য মুখিয়ে আছি। রোহিত যদি বোল্টের প্রথম স্পেল কাটিয়ে দিতে পারে তাহলে নিউজিল্যান্ড কিন্তু সমস্যায় পড়বে। কারণ রোহিত চুপচাপ ক্রিজে থাকার ছেলে নয়।”
এর আগে ২০১৩ সালে ইংল্যান্ডে আয়োজিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে রোহিত ওপেন করেছেন। ২০১৪ সালে বিলেত সফরে গিয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই সাদাম্পটনে টেস্ট খেলেছিলেন রোহিত। সেই অভিজ্ঞতাকে সম্বল করেই এ বার বিশ্ব টেস্ট ফাইনালে ওপেন করতে নামবেন ‘হিট ম্যান’।
রোহিতের প্রশংসা করে সহবাগ বলছেন, “দেশ কিংবা বিদেশ, একজন ওপেনারকে শুরুর ১০ ওভার সাবধানী হওয়া উচিত। ইংল্যান্ডের আবহাওয়ার সঙ্গে নতুন বল মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা থাকা দরকার। তবে ইংল্যান্ডে খেলার কিছুটা অভিজ্ঞতা ওর আছে। তাই আমার ধারণা ওপেনার হিসেবে রোহিত এই বিলেত সফরে ভাল ফল করবে।”
তবে শুধু রোহিত নন, ঋষভ পন্থকে নিয়েও স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিয়েছেন সহবাগ। সেটা তাঁর কথায় স্পষ্ট। তরুণ পন্থের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, “পন্থের সবচেয়ে বড় গুণ হল ও নিজের ব্যাটিং সবচেয়ে ভাল বোঝে। তাই প্রাক্তন ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার, সংবাদ মাধ্যম ওকে নিয়ে কী বললো, কে কী লিখল সেটা নিয়ে ওর মাথা ঘামানো একদম উচিত নয়।”
এমনকি পন্থকে ব্যাটিংয়ের ধরণ না বদলানোর পরামর্শ দিলেন তিনি। সহবাগ শেষে বলেছেন, “টেস্ট দলে ৬ নম্বর জায়গা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পন্থ ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে ইতিমধ্যেই বিপক্ষের কাছ থেকে সমীহ আদায় করে নিয়েছে। তাই ও যদি প্রথম বলকে গ্যালারিতে পাঠাতে পারে, তাহলে সেটাই করবে। এটা তো দলের জন্যই ভাল। মনে রাখবেন পন্থ যদি পুরনো ছন্দ ধরে রাখতে পারে তাহলে কিন্তু বিপক্ষের কপালে দুঃখ আছে।”