ভারতীয় দলের জন্য প্রস্তুত সাদাম্পটনের রোজ বোলের বাইশ গজ। ফাইল চিত্র
হাত আর মাত্র চার দিন। তারপরেই বিশ্ব টেস্ট ফাইনালের জন্য ১৮ জুন সাদাম্পটনের রোজ বোল স্টেডিয়ামে লাল বল গড়াবে। স্বভাবতই পাঁচ দিনের যুদ্ধের জন্য বাইশ গজ একেবারে তৈরি। পিচ তৈরির পুরো ব্যাপারটা আইসিসি দেখছে। মাঠের প্রধান পিচ প্রস্তুতকারক সাইমন লি-র দাবি ফাইনালে যাতে দুটো দল সমান সুবিধা পায়, সেই দিক লক্ষ্য করে পিচ তৈরি করা হয়েছে। এই পিচে গতি, বাউন্স থাকবে। ফলে ব্যাটসম্যানদের কাছে দ্রুত গতিতে বল আসবে।
সাইমন লি বলছেন, “বিশ্ব টেস্ট ফাইনালের জন্য সাদাম্পটনের রোজ বোল স্টেডিয়ামকে বেছে নেওয়া খুবই গর্বের ব্যাপার। এমন একটা ম্যাচের জন্য পিচ তৈরি করার সুযোগ পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি। পিচ কেমন আচরণ করবে সেটা খেলা না শুরু হলে বলা সম্ভব নয়। তবে এই পিচ দেখে আমার প্রাথমিক ভাবে মনে হয় এখানে দুটো দল সমান সুবিধা পাবে। এই পিচে গতি, বাউন্স থাকবে। ফলে ব্যাটসম্যানদের কাছে দ্রুত গতিতে বল আসবে। এই পিচে যেমন জোরে বোলাররা সুবিধা পাবে, তেমনই ধৈর্য বজায় রাখলে ব্যাটসম্যানদের রান করা মোটেও অসম্ভব নয়।”
গত কয়েক দিন সাদাম্পটনের আকাশ মুখ ভার করে নেই। কিন্তু ইংল্যান্ডের খামখেয়ালি আবাহাওয়াকে যে ভরসা করা যায় না। যে কোনও সময় কয়েক পশলা বৃষ্টি হতেই পারে। সেটা হলে অবশ্য বাইশ গজে ভেজা ভাব থাকবে। আর এই ব্যাপরটা নিয়েই চিন্তায় আছেন পিচ প্রস্তুতকারক।
আবহাওয়া কারও হাতে না থাকলেও লি বলছেন, “ইংল্যান্ডের আবহাওয়া যে মুহূর্তে বদলে যায় সেটা জানি। বৃষ্টি এর আগে অনেক ম্যাচ ভেস্তে দিয়েছে। কিন্তু এ বার আবহাওয়া দপ্তর বৃষ্টি না হওয়ার ব্যাপারে অভয় দিয়েছে। তাই এমন চড়া রোদ থাকলে পিচেও যথেষ্ট প্রাণ থাকবে। ফলে অযথা রোলিং করব না। কারণ অহেতুক রোলিং করলে আবার পিচ ভেঙে যেতে পারে।”
রোজ বোলের বাইশ গজের মতো দুটো দলও একেবারে তৈরি। বিরাট কোহলীর দল নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে ফাইনাল খেলতে নামবে। তেমনই আবার নিউজিল্যান্ড গত টেস্টে ইংল্যান্ডে ৮ উইকেটে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসী।