জয়ের পর কোহলীর উচ্ছ্বাস ছবি রয়টার্স
ওভালে চতুর্থ টেস্টে দুরন্ত জয় পেয়েছে ভারত। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়েছে ১৫৭ রানে। প্রথম ইনিংসে ৯৯ রানে পিছিয়ে থেকেও যে ভাবে বল এবং ব্যাট হাতে প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছে বিরাট কোহলীর দল, তাকে কুর্নিশ করছেন প্রত্যেকে।
সোমবার ম্যাচের পর কোহলী বললেন, “গোটা দলের চারিত্রিক দৃঢ়তা যা দেখলাম তা অভূতপূর্ব। ১০০ রানে পিছিয়ে থেকেও আমরা কখনও ম্যাচ থেকে হারিয়ে যাইনি। লর্ডস টেস্টেও একই কথা বলেছিলাম। দলের চারিত্রিক দৃঢ়তায় আমি গর্বিত। ভারত অধিনায়ক হিসেবে আমার দেখা অন্যতম সেরা বোলিং পারফরম্যান্স। পাটা উইকেট ছিল। প্রথম তিন দিনের মতো আউটফিল্ডে ভেজা ভাব ছিল না। কিন্তু বোলাররা বুদ্ধি করে রিভার্স স্যুইং আদায় করেছে। দল হিসেবে আমরা জানতাম ম্যাচটা জেতার ক্ষমতা রাখি।”
রোহিতের ইনিংসের প্রশংসা করেও কোহলী জানালেন, শার্দূল ঠাকুরই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন। বলেছেন, “রোহিতের ইনিংস অসাধারণ। কিন্তু লোয়ার মিডল অর্ডারের খেলাই ম্যাচে প্রভাব ফেলেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে আমরা প্রতি আক্রমণ করেছি। শার্দূলের অর্ধশতরান ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।”
অনেকেই ওভাল টেস্টের আগে দাবি করেছিলেন রবিচন্দ্রণ অশ্বিনকে খেলানোর। কোহলী শোনেননি। টেস্ট জেতার পর ঘুরিয়ে সেই সমালোচকদের একহাত নিয়েছেন। বলেছেন, “স্পিনার খেলানোর ব্যাপারে পরিসংখ্যানের দিকে আমরা কখনও তাকাইনি। দলের জন্যে যেটা সেরা মনে করেছি সেটাই করেছি। বিশ্বাস রেখেছি যে এ ভাবেই টেস্ট জিততে পারি। বাইরে থেকে যে যতই আওয়াজ করুক, আমরা পাত্তা দিই না।”
কোহলী প্রশংসা করেছেন বুমরাকে নিয়েও। বলেছেন, “এই ধরনের পিচে ২২ ওভারে ২৭ রান দেওয়া ভাবাই যায় না! রিভার্স স্যুইং শুরু হওয়া মাত্রই ও আমাকে বলেছিল বলটা দিতে। তারপর একাই দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে।”
করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ওভালে শেষ দু’দিন কোহলীরা পাননি কোচ রবি শাস্ত্রীকে। ম্যাঞ্চেস্টারেও তাঁকে পাওয়া যাবে না। তা নিয়ে কোহলী বললেন, “ওরা এখানে নেই দেখে খুব খারাপ লাগছে। তবে কিছুক্ষণ আগেই কথা হয়েছে। আমরা সেই কথা শুনে চাঙ্গা হয়ে গিয়েছি। পরের টেস্টে মাঠে নামার জন্যে মুখিয়ে রয়েছি।”