২৫৬টি বল খেলে ১২৭ রান করেন রোহিত। —ফাইল চিত্র
টেস্টে বিদেশের মাঠে প্রথম শতরান রোহিত শর্মার। সেই শতরান তাঁর কাছে যতটা গুরুত্বপূর্ণ, তার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ দলের কাছে। রোহিতের কাছে যদিও শতরান করা নয়, ক্রিজে বেশি ক্ষণ সময় কাটানোটাই মূল লক্ষ্য ছিল।
২৫৬টি বল খেলে ১২৭ রান করেন রোহিত। ওভালে তৃতীয় দিনের শেষে ভারতীয় ওপেনার বলেন, “সব চেয়ে শান্তির এটাই যে আমি ২৫০টির বেশি বল খেলেছি। এই সিরিজের সব ক’টি টেস্টে আমি প্রতিটি ইনিংসেই ১০০-র কাছাকাছি বল খেলেছি। এটাই আমার লক্ষ্য ছিল। যত বেশি বল খেলব, তত ক্রিজে টিকে থাকতে পারব। বোলাররা কী করছে সেটা দেখা এবং সেই অনুযায়ী ইনিংস সাজানো লক্ষ্য ছিল আমার। এই চার ম্যাচে ক্রিজে বেশি ক্ষণ থাকতে পারাটাই আমার কাছে সব চেয়ে বড় সাফল্য।”
টেস্টের বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ হোক বা ইংল্যান্ড সিরিজ, রোহিতই ভারতের একমাত্র ব্যাটসম্যান যাঁকে স্বচ্ছন্দ দেখিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই সিরিজে দুটি অর্ধশতরান এবং একটি শতরান এসেছে রোহিতের ব্যাট থেকে। লর্ডসে লোকেশ রাহুলের শতরানের পাশে রোহিতের ৮৩ রানের ইনিংসকে ভুললে চলবে না। টেস্টে ওপেনার হিসাবে বিদেশের মাটিতেও সফল রোহিত।
ওভাল টেস্টের শতরানকারী বলেন, “ব্যাটিং অর্ডারে যখন আমাকে ওপেনিংয়ে আনা হল, তখন মাথায় একটা জিনিসই ঘুরছিল যে, এটাই আমার শেষ সুযোগ। তাই যখন ওপেন করার সুযোগ দেওয়া হল, মানসিক ভাবে আমি প্রস্তুত ছিলাম। জানতাম মিডল অর্ডারে ব্যাট করে সাফল্য পাইনি। তাই ওপেনিং আমার কাছে শেষ সুযোগ। বুঝতে পারছিলাম দল কী ভাবছে। খেলতে গেলে এই ঝুঁকিগুলি নিতেই হবে। সাফল্য না পেলে যে কোনও কিছু ঘটতে পারত।”
রোহিত জানতেন সাদা বলের খেলায় ওপেন করা এবং লাল বলের খেলায় ওপেন করার মধ্যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে। তিনি বলেন, “২০১৯ সালে মনে হয়েছিল এটাই আমার শেষ সুযোগ টেস্ট খেলার। অন্যরা কী ভাবছিল জানি না। আমার মনের মধ্যে চলছিল, এই সুযোগ কাজে লাগাতেই হবে। এটাও বুঝেছিলাম, একদিনের ক্রিকেট এবং টেস্টের মধ্যে বিরাট পার্থক্য। অনুশীলনে জোর দিয়েছিলাম বল ছাড়া এবং রক্ষণ শক্তিশালী করার দিকে।”
দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারতের স্কোর ২৭০/৩। ইংল্যান্ডের থেকে ১৭১ রানে এগিয়ে রয়েছে ভারত। ক্রিজে রয়েছেন বিরাট কোহলী এবং রবীন্দ্র জাডেজা।