বৃষ্টির জন্য বারবার খেলা বন্ধ। বিরক্ত কোহলী মাঠ ছাড়ছেন। ছবি - বিসিসিআই
৪ উইকেটে ১৩২ রান থেকে শুরু করে ২৭৮ রানে শেষ ভারতের প্রথম ইনিংস। বারবার বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে তৃতীয় দিন ১৪৬ রান তুলতে গিয়ে ৬ উইকেট হারাল টিম ইন্ডিয়া। আপাতদৃষ্টিতে দেখলে মনে হবে জেমস অ্যান্ডারসন (৪/৫৪) ও অলি রবিনসনের (৫/৮৫) সামনে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি ভারত। তবে ট্রেন্ট ব্রিজের বাইশ গজের চরিত্র অনুসারে প্রথম ইনিংসে ৯৫ রানের লিড মূল্যবান হতে পারে। এমনটাই মনে করছেন সুনীল গাওস্কর, বীরেন্দ্র সহবাগরা। তবে বৃষ্টির জন্য খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে ২৫ রান তুলেছে।
কেএল রাহুল একটা দিক আগলে রেখে ২১৪ বল খেলে করেন ৮৪ রান। ভারতীয় ব্যাটিংয়ের মাথারা একে একে সাজঘরের পথ ধরলেও মাথা ঠাণ্ডা রেখে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন রাহুল। ময়াঙ্ক আগরওয়াল মাথায় চোট না পেলে রাহুল হয়তো দলে জায়গা পেতেন না। তবে এই লড়াকু ইনিংস খেলে রাহুলের আত্মবিশ্বাস যেমন বাড়ল, তেমনই টিম ম্যানেজমেন্ট পেল স্বস্তি।
কে এল রাহুল ও জাডেজার জুটি ইংল্যান্ডকে চাপে রাখল। ছবি - বিসিসিআই
বিশ্ব টেস্ট ফাইনালের পর ফের একবার ঋষভ পন্থ ব্যর্থ হলেন। তবে এতে রবীন্দ্র জাডেজা ঘাবড়ে যাননি। বরং নিজের মেজাজে ব্যাট করে তিনিও অধিনায়ক বিরাট কোহলী ও কোচ রবি শাস্ত্রীর ভরসা বাড়ালেন। বুঝিয়ে দিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনের পরিবর্তে তাঁকে সুযোগ দিয়ে ‘বন্ধু’ কোহলী মোটেও ভুল করেননি। টেস্টে ২০০০ রান পূর্ণ করার সঙ্গে থামলেন ৫৬ রানে। এর আগে রাহুলের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে ৬০ রান। জাডেজা যখন ফিরছেন তখন দলের স্কোরবোর্ড বলছে ভারত ৮ উইকেটে ২৩২। লিড মাত্র ৪৯ রানের।
‘বুড়ো’ অ্যান্ডারসন ও ‘তরুণ’ রবিনসন বাইশ গজে গোলাগুলি ছুঁড়েই চলেছেন। মহম্মদ শামি যখন ফিরলেন তখন ভারত ৯ উইকেটে ২৪৫। তবে দুই ইংরেজ জোরে বোলারের সব পরিকল্পনা ভেস্তে দিলেন যশপ্রীত বুমরা। সঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলেন মহম্মদ সিরাজকে। শেষ উইকেটে দুজন ২৬ বলে যোগ করলেন ৩৩ রান। এর মধ্যে বুমরার ব্যাট থেকে এল ৩৪ বলে ২৮ রান। মারলেন ৩টি চার ও ১টি ছয়।
শুধু ইংল্যান্ড নয়, ভারতের দ্বিতীয় প্রতিপক্ষা ট্রেন্ট ব্রিজের বৃষ্টি ও মন্দ আবহাওয়া। ছবি - বিসিসিআই
এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে শুধু দুই ইংরেজ ওপেনার নন, বুমরা ও সিরাজকে খারাপ আবহাওয়ার বিরুদ্ধেও লড়তে হয়েছে। ১১ ওভারে মাত্র ২৫ রান তুলে ক্রিজে রয়েছেন রোরি বার্নস ও ডম সিবলে। কোহলীর ভারত দিনের খেলা শেষ হওয়ার সময় ৭০ রানে এগিয়ে রয়েছে। টেস্টের আরও দুই দিন বাকি। নতুন লাল বলের বয়স মাত্র ১১ ওভার। চতুর্থ দিনের প্রথম ঘন্টায় ইংরেজদের দুর্গে আঘাত করলে কিন্তু প্রথম টেস্টেই এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। আগ্রাসী মানসিকতার বিরাটবাহিনী এই সুবর্ণ সুযোগ মোটেও হারাতে চাইবে না।