সুতীর্থা মুখোপাধ্যায় ছবি টুইটার
টোকিয়ো অলিম্পিক্সের জন্য যোগ্যতা অর্জন করলেন সুতীর্থা মুখোপাধ্যায়। ক্রমতালিকায় ভারতের দুই নম্বর বাংলার সুতীর্থা হারান এক নম্বর মণিকা বাত্রাকে। এই প্রথম অলিম্পিক্সের ছাড়পত্র পেলেন তিনি।
দোহায় এশিয়ান অলিম্পিক্স কোয়ালিফিকেশন প্রতিযোগিতায় সুতীর্থা ৭-১১, ১১-৭, ১১-৪, ৪-১১, ১১-৫, ১১-৪ ফলে হারান মণিকাকে। মহিলাদের সিঙ্গলসে দক্ষিণ এশিয়ার গ্রুপ থেকে শুধু মাত্র বিশ্বের ৬২ নম্বর মণিকা এবং ৯৫ নম্বর সুতীর্থা যোগ্যতা অর্জন পর্বে ছিলেন, এই ম্যাচে যিনি জিততেন, তিনিই টোকিয়োর টিকিট পেতেন। সেই ছাড়পত্র অর্জন করে নিলেন সুতীর্থা। ক্রমতালিকায় ওপরের দিকে থাকায় মণিকার সামনে এখনও অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ রয়েছে।
এর আগে টোকিয়ো অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করেন শরৎ কমল। তিনি পাকিস্তানের রামিজ মহম্মদকে হারিয়ে এবারের অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করেন।
অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করতে হলে এই ম্যাচে জিততেই হতো শরৎকে। তিনি সহজেই জেতেন। মাত্র ২৩ মিনিটে ১১-৪, ১১-১, ১১-৫, ১১-৪ ফলে হারান রামিজকে। এই নিয়ে চতুর্থ বার অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করলেন শরৎ। এর আগে ২০০৪ সালে এথেন্স অলিম্পিক্স, ২০০৮ সালে বেজিং অলিম্পিক্স এবং ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন তিনি।
টোকিয়োর ছাড়পত্র পেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই খুশি শরৎ। বলেন, ‘‘সত্যিই এটা একটা বিশেষ অনুভূতি। এই ৩৮ বছর বয়সে এসে মনে হচ্ছে আমি শারীরিক সক্ষমতার দিক থেকে এখন সবথেকে ভাল জায়গায় আছি।’’ তরুণ সাথিয়ান, হরমীত দেশাইরা তাঁকে ভাল খেলতে এবং শারীরিক ভাবে সক্ষম থাকতে সাহায্য করেন জানিয়ে শরৎ বলেন, ‘‘ওরা কঠোর পরিশ্রম করে। আমাকে নিজের সেরাটা দিতে উদ্বুদ্ধ করে।’’
অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করেছেন আর এক ভারতীয় সাথিয়ান গণশেখরন। তিনি রামিজকে হারান ৪-০ ফলে।