হেরে সতীর্থদের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিলেও প্রত্যয়ী বিরাট। ছবি - পিটিআই
চেন্নাইয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২২৭ রানে হারে মর্মাহত বিরাট কোহালি। এই হারের ক্ষত বেশ দগদগে। সেটা ম্যাচের শেষে ভারত অধিনায়কের সাংবাদিক সম্মেলনে ফুটে উঠল। সিরিজের প্রথম টেস্টে ল্যাজেগোবরে হয়ে সতীর্থদের শরীরী ভাষা ও মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন কোহালি।
মঙ্গলবার কোহালি বেশ ক্ষোভের সঙ্গে বলেছেন, “ম্যাচের প্রথম দিকে আমরা বিপক্ষকে চাপে রাখতে ব্যর্থ হয়েছি। জোরে বোলাররা ও অশ্বিন চেষ্টা করলেও সেটা চাপ বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। প্রচুর বাজে রান দিয়েছি। তাই ওরা সহজে রান করে গেল। এই পিচে ওদের জোরে বোলার ও স্পিনাররা দারুণ বোলিং করলেও আমরা পারলাম না। আমাদের পার্ট টাইম বোলাররা প্রভাব ফেলতে পারেনি।” এরপরেই দলের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, “আমাদের মধ্যে খুনে মানসিকতার অভাব ছিল। প্রথম ইনিংসে একটা সময় আমাদের কাঁধ ঝুলে যায়। এতা মোটেও কাম্য নয়। এই নেতিবাচক মানসিকতাও কিন্তু টেস্ট হারের অন্যতম কারণ। তবে এখনই সব শেষ হয়ে যায়নি। আমরা আগেও অনেকবার ফিরে এসেছি। এবারও ফিরব।”
শুধু বোলারদের নয়, টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের দিকেও আঙুল তুললেন কোহালি। বললেন, “প্রথম ইনিংসে দলের মিডল অর্ডার ভাল খেললেও টপ অর্ডার একেবারেই প্রভাব ফেলতে পারেনি। আমাদের মত পেশাদার দলে এই ভুলগুলো মেনে নেওয়া যায় না। ইংল্যান্ড কিন্তু আমাদের থেকে অনেক বেশি পেশাদারি মনোভাব দেখিয়েছে। তাই ওরা জিতে মাঠ ছাড়ল।”
এদিকে টেস্ট হারের সঙ্গে সঙ্গে আরও একটা বিষয় নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। কুলদীপ যাদবকে দলে রেখে দেওয়ার পরেও কেন খেলানো হচ্ছে না? সেটা নিয়েও কিন্তু জোর গুঞ্জন চলছে। যদিও কোহালির দাবি তিনি দলের স্বার্থে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শাহবাজ নদিমকে খেলানো নিয়ে অধিনায়ক বলেছেন, “অশ্বিন আর সুন্দর তো খেলতই। তবে এই পিচে কুলদীপের বদলে শাহবাজ ছিল আদর্শ। তাই ওকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।”
তবে টেস্ট হেরে সতীর্থদের সমালোচনা করলেও অধিনায়ক বিরাটের সময়ও ভাল যাচ্ছে না। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুটো টেস্ট হারের পর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অ্যাডিলেডেও হেরেছিল টিম ইন্ডিয়া। আর এবার চেন্নাইতেও একই পরিণতি।