গাওস্কর এবং কোহলী।
যে ভাবে দ্বিতীয় টেস্টে একাধিক ডিআরএস নষ্ট করেছে ভারত, তা একেবারেই খুশি করতে পারেনি সুনীল গাওস্করকে। প্রথম ইনিংসে জো রুটের বিরুদ্ধে একটি ডিআরএস নেওয়া নিয়ে বিরাট কোহলী, ঋষভ পন্থ এবং মহম্মদ সিরাজের দোলাচলে একটি রিভিউ নষ্ট হয়। পরে সিরাজ আরও একটি রিভিউ নষ্ট করেন।
গাওস্কর বলেছেন, “আমার মতে ডিআরএস নেওয়া উচিত কিনা সেটা শুধু ঠিক করুক উইকেটকিপার। কারণ প্রত্যেক বোলারই ভাবে সে ব্যাটসম্যানকে আউট করেছে। আবার এলবিডব্লিউ দিলে ব্যাটসম্যানরা ভাবে সে আউট হয়নি। পন্থ কিন্তু বার বার রিভিউ নিতে বারণ করছিল। তা-ও কোহলী নিল।” তবে গাওস্কর মনে করেন, উল্টোদিকে রুট ছিলেন বলেই হয়তো ঝুঁকি নিয়েছেন কোহলী।
এদিকে, নিরপেক্ষ আম্পায়ারদের নিয়েও মুখ খুলেছেন গাওস্কর। করোনার কারণে ক্রিকেটে নিরপেক্ষ আম্পায়ার উড়িয়ে আনার প্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ। যাতায়াত এবং নিভৃতবাসের সমস্যার কারণে তাঁদের বদলে স্থানীয় আম্পায়াররাই ম্যাচ পরিচালনা করছেন। ভারত বনাম ইংল্যান্ড সিরিজের দায়িত্বে যেমন রয়েছেন ইংরেজ আম্পায়াররা।
স্থানীয় আম্পায়ারদের নিয়মকে সাময়িক সমর্থন জানালেও গাওস্করের মতে, নিরপেক্ষ আম্পায়ারদের কোনও বিকল্প নেই। শনিবার দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলার পর তিনি বলেছেন, “আমি এখনও নিরপেক্ষ আম্পায়ারদের পক্ষে। কারণ, ২-৩টে রিভিউ হারানোর পর কোনও কোনও সিদ্ধান্ত ম্যাচের রং বদলে দিতে পারে। তাই পক্ষপাতিত্ব এড়াতে নিরপেক্ষ আম্পায়ারদেরই দরকার। তবে এই সিরিজ (ভারত-ইংল্যান্ড) এবং আগের অস্ট্রেলিয়া সিরিজে যে ভাবে আম্পায়ারিং হয়েছে, তা দুর্দান্ত। আমাদের সময়ে এ জিনিস কল্পনাই করা যেত না।” অর্থাৎ পরোক্ষে গাওস্কর বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁদের আমলে পক্ষপাতিত্ব দেখা যেত আম্পায়ারদের মধ্যে।