ishant sharma

বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ কীভাবে পেতে চান, জানালেন ইশান্ত শর্মা

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২১:০০
Share:

ছবি টুইটার

জাভাগাল শ্রীনাথ পারেননি। জাহির খান পারেননি। তবে তিনি পারলেন। কপিল দেবের পর ইশান্ত শর্মা হলেন দ্বিতীয় ভারতীয় পেসার, যিনি ১০০ টেস্ট খেলার নজির গড়বেন। ৩০০ উইকেটের ক্লাবে ঢুকেছেন চেন্নাইয়ে। রাহুল দ্রাবিড়ের অধিনায়কত্বে ঢাকায় টেস্ট অভিষেক হয়েছিল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। দেশের মাটিতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধেই ২০১৯ সালে গোলাপি বলের টেস্টে ইডেনে প্রথম ইনিংসে ৫টি ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট পান। ম্যাচের সেরা হন, সিরিজ সেরাও। তেমন খেলেই এবার শততম টেস্ট স্মরণীয় রাখতে চান ‘দিল্লির লম্বু’। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বললেন বুধবার থেকে শুরু হতে চলা টেস্ট ম্যাচের আগে।

Advertisement

দীর্ঘ কেরিয়ারে একাধিক উত্থান-পতনঃ ১৪ বছরের ক্রিকেট জীবনে অনেক উত্থান-পতনের সাক্ষী থেকেছি। ফলে কোনও একটা ঘটনাকে বেছে নেওয়া মুশকিল। তবে শততম টেস্ট খেলার সুযোগ আসছে ভেবে ভালই লাগছে। জাহির খানের কাছ থেকে অনেক কিছু খুঁটিনাটি শিখেছি। দলের সকলকে একটা কথাই বলে থাকি, ফিট থাকার জন্য সবরকম চেষ্টা করলে তার ফল মেলে। শততম টেস্ট আমার ক্রিকেট জীবনে একটা মাইল ফলক। তাই এই টেস্ট জেতার কথাই ভাবছি। বিশ্বকাপ জেতা হয়নি। তাই আমি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেতে চাই।

দলের সাফল্য সবার আগেঃ ২০১৪ সালের লর্ডস টেস্টে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৭৪ রানে ৭ উইকেট নিয়ে টেস্ট জিতিয়েছি। ২০০৭-০৮ মরসুমে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজে রিকি পন্টিংয়ের সঙ্গে দ্বৈরথ মনে আছে। আসলে টানা বোলিং করে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। অনিল ভাই তখন বলেছিলেন, ‘আর এক ওভার বল করবি?’ এরপর তো বাকিটা ইতিহাস। তখন আমার বয়স কম ছিল। বেশি কিছু না ভেবে ঘরোয়া ক্রিকেটে যেমন বোলিং করি, তেমন করাতেই জোর দিয়েছিলাম। আমি সব সময়ই দলের জয়কে প্রাধান্য দিয়ে থাকি। যতদিন খেলব, সেই ভাবনাচিন্তা একই থাকবে। ব্যক্তিগত মাইলস্টোন আসবে, অবসরের পর সেগুলির দিকে তাকানো যাবে। এটা আমার কাছে একটা সংখ্যা ছাড়া কিছু নয়। আমি সংখ্যার জন্য খেলি না। জেতার জন্য খেলি।

Advertisement

তিন ফরম্যাটই পছন্দেরঃ একজন ক্রিকেটারের কাজ হচ্ছে খেলা। আমি সাদা বলের ক্রিকেট খেলতে ভালোবাসি। সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলা, বা না খেলা আমার টেস্ট ম্যাচে বোলিংয়ে প্রভাব ফেলে না। কত ম্যাচ খেলেছি সেটাই আমার কাছে বড়। আমি এটা কখনওই ভাবিনি যে, তিন ফরম্যাটে খেললে একশোটা টেস্ট খেলতে পারব না। আরও একটু দেরি হলেও অসুবিধা ছিল না। একশোটা টেস্ট খেলতামই।

অধিনায়ককে গুরুত্ব দেওয়া উচিতঃ এটা বোঝা খুব কঠিন কোন অধিনায়ক আমাকে বেশি বোঝেন। অধিনায়ক আমার কাছে কী চাইছে, তা বুঝতে পারলেই কাজটা সহজ হয়ে যায়। আমি সামনের ম্যাচ নিয়েই ভাবি। ভবিষ্যৎ নিয়ে বিশেষ ভাবি না। নিজের শরীর কেমন আছে, কী ধরনের ট্রেনিং দরকার, সেটা এখন ভালোই বুঝতে পারি। ক্লান্তি কাটিয়ে নিজেকে আবার আগর জায়গা নিয়ে যাওয়ার একটা পদ্ধতি আছে। সেটয় গুরুত্ব দিই। এখনও সব কিছু ঠিকঠাকই চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement