গোলাপি বল নিয়েই এখন মাথাব্যথা পূজারাদের। ফাইল ছবি
আমদাবাদে তৃতীয় টেস্ট শুরুর আগে ভারতীয় শিবিরে আলোচনায় স্বাভাবিক ভাবেই চলে এসেছে গোলাপি বল। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠতে গেলে বাকি দুটি টেস্টে জিততেই হবে বিরাট কোহালির ভারতকে। সেই লক্ষ্য পূরণে গোলাপি বলের টেস্ট জেতা গুরুত্বপূর্ণ।
মোতেরায় প্রথম দিন অনুশীলনের পর চেতেশ্বর পূজারার কথাতেও সেটাই শোনা গেল। ৮৩টি টেস্ট খেলা পূজারার গলাতেও সমীহের সুর। বলেছেন, “এই টেস্টে বল কতটা সুইং করবে সেটা আমরা জানি না। শুরুর দিকে সুইং করলেও করতে পারে। খেলা যত এগোবে তত হয়তো সুইং কমবে। কিন্তু আগে থেকে ও ভাবে বলা মুশকিল। লাল বলের ব্যাপারটা আলাদা। কিন্তু গোলাপি বলে আগে থেকে কিছু বলা মুশকিল। অনেক সময় এক ধরনের পরিকল্পনা ভেবে রাখলেও পরে দেখা যায় সেটা কাজে লাগছে না। ব্যাটসম্যান হিসেবে আমি সহজ পরিকল্পনা রাখার চেষ্টা করছি। পিচ নিয়ে বেশি মাথা ঘামাচ্ছি না। আমি অনেক টেস্ট খেলেছি বটে, কিন্তু গোলাপি বলে আমারও বেশি অভিজ্ঞতা নেই।”
এখনও পর্যন্ত দুটি দিন-রাতের টেস্ট খেলেছে ভারত। ২০১৯-এর নভেম্বরে বাংলাদেশকে সহজেই হারালেও, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে গত বছরে দুরমুশ হয়ে গিয়েছিল তারা। তবে পূজারা জানালেন, অ্যাডিলেডের ওই ম্যাচের পুনরাবৃত্তি কোনও ভাবেই হবে না। তাঁর কথায়, “অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাপারটা আলাদা ছিল। ওখানে বল প্রচণ্ড সিম করছিল। একটা সেশনে খারাপ খেলাতেই বিপদ আসে। প্রথম ইনিংসে কিন্তু আমরা অনেকটাই শাসন করেছি। এখানে আমরা পরিচিত পরিবেশে খেলতে নামছি। ভাল খেলার ব্যাপারে প্রত্যেকেই আত্মবিশ্বাসী।”
২০১২-য় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজে এই মাঠেই অপরাজিত ২০৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন পূজারা। এ বার গোটা মাঠেরই ভোল বদলে গিয়েছে। দেখে কী রকম মনে হচ্ছে? সৌরাষ্ট্রের ব্যাটসম্যানের উত্তর, “পুরনো স্টেডিয়ামে স্পিনাররা অনেক সাহায্য পেত। কিন্তু মাথা খাটিয়ে ব্যাট করতে পারলে ব্যাটসম্যানরাও টিকতে পারত। বলও রিভার্স করত। এখন নতুন স্টেডিয়াম। নতুন পিচ। আরও কয়েকটা ম্যাচ খেললে পিচ নিয়ে কথা বলতে পারব।”
দীর্ঘ ছ’বছর পর আইপিএলে দল পেয়েছেন পূজারা। সেই সম্পর্কে বললেন, “খুব খুশি হয়েছি। বরাবর সীমিত ওভারে খেলতে চেয়েছিলাম। আইপিএল থেকে অনেক তরুণ ক্রিকেটার উঠে এসেছে। তবে আপাতত আমার মন টেস্ট সিরিজে। এরপর আইপিএল খেলব। তারপর জুন-জুলাই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ইংল্যান্ড সফর রয়েছে। তার আগে অনেক সময় পাব। ওই সময়ে কাউন্টিতে খেলার ইচ্ছে রয়েছে।”