পিচ থেকে সাহায্য পাবেন কোহালিরা? ফাইল ছবি
পেশায় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। জীবনে কোনওদিন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের পিচও বানাননি। ৪২ বছরে সেই ভি রমেশ কুমারের হাতেই ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের প্রথম দুই টেস্টের পিচ বানানোর দায়িত্ব তুলে দিয়েছে তামিলনাড়ু ক্রিকেট সংস্থা। দায়িত্ব নিয়েই রমেশ বলেছেন, পিচে ‘ইংলিশ লুক’ থাকবে।
সাধারণত কিউরেটররা পিচ তৈরি করার আগে পড়াশোনা করে আসেন। কিন্তু রমেশের সেরকম অভিজ্ঞতা বেশি নেই। যদিও বিসিসিআইয়ের প্রখ্যাত পিচ কিউরেটরের দলজিৎ সিংহের কাছে একটি কোর্স করেছেন, কিন্তু বয়সভিত্তিক খেলা ছাড়া কোনও পিচ তৈরি করেননি। প্রথম শ্রেণি তো দূরের কথা। এ হেন রমেশের হাতেই অস্থায়ী ভাবে পিচ তৈরি করার দায়িত্ব তুলে দিয়েছে তামিলনাড়ু।
জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তাঁর কাছে ফোন আসে। দু’দিন সময় চান। তারপরেই কাজে লেগে পড়েন। দীর্ঘদিন চিপকের মাঠে কোনও খেলা হয়নি। মাত্র এক মাস আগে দায়িত্ব নিয়েই তার ভোল বদলে ফেলেছেন রমেশ। চেন্নাইয়ের পিচ পরিচিত পাটা থাকার কারণে। কিন্তু এই পিচে ভালমতো সবুজের আভা রয়েছে। আউটফিল্ডও সবুজে মোড়া, যেখানে ভারতীয়দের থেকেও বেশি সুবিধা পেতে পারেন ইংরেজ ক্রিকেটাররা।
রমেশ একটি অ্যাকাডেমি চালান তিরুপুরে। বয়সভিত্তিক খেলার পিচ তৈরি করেছেন। কিন্তু এরকম বড় মাপের ম্যাচের দায়িত্ব পেলেন এই প্রথম। বোর্ডের পিচ কমিটির সদস্য তাপস চট্টোপাধ্যায়ও কাজ করছেন রমেশের সঙ্গে।
চিপকে মোট আটটি পিচ রয়েছে। তবে মোট চারটি পিচে কাজ চলছে। টেস্ট প্রতি দুটি করে পিচ। একটি পিচ লাল মাটির, যা একবার রোল করলে সমতল হয়ে যাবে। আরেকটি মেলানো-মেশানো। উপরে কালো মাটির স্তর থাকলেও নিচে লাল মাটি রয়েছে।
রমেশ বলেছেন, “চিপকের পিচ যেরকম হয় সেটাই থাকবে। তবে ইংলিশ লুকও দেখা যাবে। ব্যাট-বলে দারুণ লড়াই দেখা যাবে। প্রথম দিন ফাস্ট বোলাররা সুবিধা পাবে। দ্বিতীয় এবং তৃতীয়দিন ব্যাটসম্যানরা। চতুর্থ দিন থেকে স্পিনাররা রাজ করবে।”