অস্ট্রেলিয়ার মাঠে জাডেজাদের হুঙ্কার। ছবি: পিটিআই
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে মাত্র ২টো টেস্ট খেলতে পেরেছিলেন রবীন্দ্র জাডেজা। প্রথম টেস্টের আগে চোট সারেনি, তৃতীয় টেস্টে চোট পেয়ে ছিটকে যান। তবে ২টো টেস্টে সুযোগ পেয়েই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন কেন তাঁকে টেস্ট দলেও নিয়মিত প্রয়োজন।
অ্যাডিলেড টেস্টের পর বিরাট কোহালি পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে দেশে ফিরে আসেন। বিরাটের বদলে দলে কোনও ব্যাটসম্যান নয়, অলরাউন্ডার জাডেজাকে নেওয়া হয়। জাডেজা দলে থাকা মানেই শুধু ব্যাট, বল নয়, ফিল্ডিংয়েও বাড়তি একজন পেয়ে গেল টিম ইন্ডিয়া। সিডনিতে তৃতীয় টেস্টে অপ্রতিরোধ্য স্টিভ স্মিথকে রান আউট করে সেটাই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন জাডেজা। তিনি বলেন, “স্মিথের রান আউটটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা। বাউন্ডারি লাইনে ছিলাম, যেখান থেকে আউট করি, মাত্র একটা স্টাম্প দেখতে পাচ্ছিলাম। কঠিন ছিল উইকেটে লাগানো।” ১৩১ রানে আউট হয়ে ফিরে যান স্মিথ। অস্ট্রেলিয়া থেমে যায় ৩৩৮ রানে।
সিডনিতে স্মিথকে রান আউট করলেও, মেলবোর্নে অজিঙ্ক রাহানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি নিয়ে খুশি নন জাডেজা। তিনি বলেন, “দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। ভুল কল করা হয়েছিল। দারুণ একটা পার্টনারশিপ গড়ে তুলছিলাম আমরা। সেই সময়ই ভুল বোঝাবুঝি ঘটে। তার পরেও যদিও আমরা লিড নিতে পেরেছিলাম।” সেই ম্যাচে ৮ উইকেটে জেতে ভারত।
অ্যাডিলেডে হারের পর দলে আসেন জাডেজা। বিধ্বস্ত ভারত কী ভাবে মেলবোর্নে ফিরে এল দাপটের সঙ্গে সেই রহস্য ফাঁস করলেন ভারতীয় অলরাউন্ডার। তিনি বলেন, “অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথম টেস্টে ওই রকম হারের পর ফিরে আসা সত্যিই কঠিন ছিল। আমরা ঠিক করি অ্যাডিলেড ভুলে যাব। ভেবে নেব এটা ৩ টেস্টের সিরিজ। মাঠে সব সময় পজিটিভ থাকার চেষ্টা করছিলাম আমরা। একে অপরের ভরসা বাড়াচ্ছিলাম, অ্যাডিলেড নিয়ে আলোচনাই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।”
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নিজের ব্যাটিং নিয়েও পরিশ্রম করেছিলেন বলে জানান জাডেজা। সিডনির টেস্টে আঙুলে চোট পান তিনি। পেনকিলার ইনজেকশন নিয়ে ব্যাট করার জন্য তৈরিও হয়েছিলেন, যদিও শেষ পর্যন্ত নামতে হয়নি। ইংল্যান্ড সিরিজে চোটের জন্য বাদ পড়েছেন তিনি।