ম্যাচের সেরা রবীন্দ্র জাডেজা। যদিও ম্যাচ ড্রই হল। ছবি: রয়টার্স।
অস্ট্রেলিয়া ৪৫১ ও ২০৪/৬ (১০০ ওভার)
ভারত ৬০৩/৯ (ইনিংস ঘোষণা)
ম্যাচ ড্র
শেষরক্ষা হল না। ব্যাট হাতে যে লড়াইটা টানা দেড় দিন দিলেন লোকেশ রাহুল, মুরলী বিজয়, চেতেশ্বর পূজারা ও ঋদ্ধিমান সাহা সেটার সঙ্গে ন্যায় করতে পারলেন না ভারতের বোলাররা। শেষদিন পুরো সময়টা বল করে ভারতের ঘরে এল মাত্র চার উইকেট। আগের দিন এসেছিল দু’উইকেট। শেষ দু’উইকেট এল ম্যাচ শেষের কিছু আগে। যাতে কোনও লাভ হল না। ম্যাচ শেষ হল অমিমাংসিত ভাবেই। ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে এই প্রথম কোনও ম্যাচ পাঁচদিন গড়াল। কিন্তু ফল হল না। সিরিজ থেকে গেল ১-১এই।
আরও খবর: আবার শিরোনামে ইশান্ত শর্মা, এ বার কী করলেন তিনি?
রাঁচী টেস্টে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৪৫১ রানে। বল হাতে পুরো সিরিজেই দারুণ সফল রবীন্দ্র জাডেজা। প্রথম ইনিংস তাঁর পাঁচ উইকেট ও উমেশ যাদবের তিন উইকেটের সুবাদে অস্ট্রেলিয়া ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরি এলেও বড় রানের লক্ষ্যমাত্রা রাখতে পারেননি স্মিথরা। তাই জবাবে ব্যাট করতে নেমে বড় ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়াকে চাপে ফেলার মতো অবস্থা তৈরিই করে ফেলেছিল বিরাট অ্যান্ড ব্রিগেড। দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও মুরলী বিজয় শুরুটা ভালই করে দিয়েছিলেন। দু’জনের ৯১ রানের পার্টনারশিপের সৌজন্যে ভিতটা তৈরি হয়ে গিয়েছিল ভারতীয় ইনিংসের। এর পর হাল ধরেন চেতেশ্বর পূজারা ও ঋদ্ধিমান সাহা। লোকেশ রাহুল ৬৭ ও মুরলী বিজয় ৮২ রানে প্যাভেলিয়নে ফেরেন। চেতেশ্বর পূজারা প্রথম দিকে কোনও সাহায্য পাননি। মুরলী বিজয় আউট হওয়ার পর বিরাট কোহালি (৬), অজিঙ্ক রাহানে (১৪), করুণ নায়ার (২৩) ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন (৩) ফিরে যান পর পর। এর পরে পূজারার সঙ্গে ময়দানে নামেন ঋদ্ধিমান। দু’জনের ব্যাটে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে ভারত। সঙ্গে সিরিজে এগিয়ে যাওয়ারও। পূজারা আউট হন ২০২ রানে। ঋদ্ধির রান ১১৭। রবীন্দ্র জাডেজার ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৫৪ রান। ৬০৩/৯এ ইনিংস ঘোষণা করে বিরাট কোহালি।
ম্যাট রেনশকে আউট করার পর ভারতীয় শিবিরে উচ্ছ্বাস।
চতুর্থ দিনের শেষে মাত্র ৭.২ ওভারই ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সেখানেও বাজিমাত জাডেজার। ২৩ রানে দু’উইকেট তুলে নেন তিনি। কিন্তু শেষ দিনের শুরুটা ভাল হলেও শেষটা আর দখলে রাখতে পারেননি অশ্বিন জাডেজারা। তবুও দ্বিতীয় ইনিংসের শেষে জাডেজার নামের পাশে লেখা হয় চার উইকেট। এই ম্যাচ ন’উইকেট নিলেন তিনি। কিন্তু ৬৩ রানের চার উইকেটের পর পঞ্চম উইকেটটি আসে ১৮৭ রানে। ১৯০ রানে পরে ষষ্ঠ উইকেট। দিন শেষ হয় ২০৪ রানে। লাঞ্চের মধ্যেই সব উইকেট ফেলে আবার ব্যাট করার লক্ষ্য ছিল ভারতের। কিন্তু তাতে সফল হতে পারল না বিরাট অ্যান্ড ব্রিগেড। এর মধ্যেই পিটার হ্যান্ডসকম্ব অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংস খেলেন। ৫৩ রান করেন মার্শ। ম্যাচের সেরা হয়েছেন রবীন্দ্র জাডেজা।