চোটের তালিকা এতটাই বড় যে অজিঙ্ক রাহানের কাছে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সেরা একাদশ নয়, শুধুমাত্র ১১ জন ক্রিকেটার বেছে নেওয়া। কাকে ছেড়ে কাকে নামাব নয়, ভারতীয় দলে এখন প্রশ্ন ১১ জনের দলের ভারসাম্য রক্ষা হবে তো? দেখে নেওয়া কেমন হতে পারে ব্রিসবেনে ভারতের সম্ভাব্য প্রথম একাদশ।
রোহিত শর্মা: চোট সারিয়ে তিনি ফিরেছেন সিডনিতে। হাফ সেঞ্চুরিও এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। ব্রিসবেনে তাঁর ব্যাট থেকে বড় রানের অপেক্ষায় থাকবে ভারতীয় দল। ‘হিট ম্যান’কে স্বমহিমায় দেখতে চাইবেন সমর্থকরাও।
শুভমন গিল: তরুণ ব্যাটসম্যান মন জয় করে নিয়েছেন তাঁর প্রতিভার মাধ্যমে। প্রাক্তন ক্রিকেটারদের মতে ভবিষ্যতের তারকা হয়ে ওঠার মশলা রয়েছে শুভমনের মধ্যে। ব্রিসবেনে রোহিতের সঙ্গে তাঁকেই ওপেন করতে দেখা যাবে তা বলাই যায়।
চেতেশ্বর পূজারা: সিডনির ম্যাচের পর বোর্ড প্রধান সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়েরও প্রশংসা পেয়েছেন তিনি। আগামী বেশ কয়েক বছর টেস্টে ভারতীয় দলের ৩ নম্বরে কে নামবেন এই প্রশ্ন বোধ হয় কেউ করবে না।
অজিঙ্ক রাহানে: বিরাটের অনুপস্থিতিতে দলের নেতৃত্বের দায়িত্বই শুধু নয়, ব্যাটিংয়ের দায়িত্বও তাঁর কাঁধে। সেই কাজ তিনি ভাল ভাবে পালনও করছেন। ব্রিসবেনেও তাঁর ব্যাটের দিকে তাকিয়ে থাকবে ভারত।
ঋষভ পন্থ: সিডনিতে তাঁর মারমুখী ইনিংস, লড়াইটা পৌঁছে দিয়েছিল বিপক্ষ শিবিরে। মাঠে সেঞ্চুরি ফেলে আসার আক্ষেপ হয়তো রয়েছে। সেই কাজটাই ব্রিসবেনের মাঠে করতে চাইবেন পন্থ।
ময়াঙ্ক আগরওয়াল: ওপেনার হিসেবে দলে থাকলেও তাঁকে হয়তো খেলতে দেখা যাবে মিডল অর্ডারে। শুভমন, রোহিতের ওপেনিং জুটি ভাঙতে চাইবে না ভারত। হনুমা বিহারীর বদলে তাঁকে দলে নিয়ে আসতে পারে রাহানেরা।
ওয়াশিংটন সুন্দর: চোট বিধ্বস্ত দলের অক্সিজেন হয়ে উঠতে পারেন তিনি। সাদা বলের সিরিজ শেষ হলেও তাঁকে রেখে দেওয়া হয়েছিল দলের সঙ্গে। বল ছাড়াও ব্যাট হাতে তাঁর ঘরোয়া ক্রিকেটে সাফল্য সুযোগ এনে দিতে পারে ব্রিসবেনে। সেই ক্ষেত্রে জাডেজার আদর্শ পরিবর্তন হতে পারেন তিনি।
রবিচন্দ্রন অশ্বিন: চোট রয়েছে তাঁরও। তবে খেলবেন না এমন শোনা যায়নি এখনও। তিনি না খেললে কুলদীপকে দেখা যেতে পারে। সেই ক্ষেত্রে যে ভারত আরও দুর্বল হয়ে যাবে তা বলাই যায়।
শার্দূল ঠাকুর: জাডেজার বদলে তাঁকেই ভাবছে ভারতীয় দল। বল ছাড়াও তাঁর ব্যাটিং ভারতকে সাহায্য করবে। ফের সুযোগ শার্দূলের সামনে। টেস্ট ক্রিকেটে মাত্র ১০টি বল করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। ব্রিসবেনে তাঁরও একরকম অভিষেকই হবে বলা চলে।
টি নটরাজন: বুমরার চোট পেস আক্রমণকে দুর্বল যেমন করেছে, তেমনই সুযোগ এনে দিয়েছে নতুনদের পরখ করে নেওয়ারও। বাঁহাতি পেসারের সাদা বলে অভিষেক ঘটেছে অস্ট্রেলিয়াতেই। এ বার টেস্টেও এখানেই অভিষেক ঘটে কি না সেটাই দেখার।
মহম্মদ সিরাজ: এই দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ পেসার এখন তিনিই। অথচ তাঁর নিজেরই কেরিয়ারের বয়স মাত্র ২ ম্যাচ। সিডনির মাঠে বার বার বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য শুনতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু তিনি যে কতটা কঠিন মানসিকতার, তার প্রমাণ বাবাকে হারিয়েও অস্ট্রেলিয়াতে থেকে গিয়েছিলেন বাবারই স্বপ্নপূরণ করতে। ব্রিসবেনে সেই মানসিকতাই দেখাতে হবে সিরাজকে।