সিডনির মাঠে হনুমা বিহারী। ছবি: টুইটার থেকে
অস্ট্রেলিয়াতে ২-১ সিরিজ জয়ের পিছনে সিডনির মাঠে ড্র বড় কারণ হয়ে উঠেছিল। সেই লড়াইয়ের নায়ক ছিলেন হনুমা বিহারী। প্রথমে চেতেশ্বর পূজারা এবং পরে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে সঙ্গে নিয়ে প্রায় হারতে চলা ম্যাচে ড্র এনে দেন তিনি। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণে একটা সময় মনে করেছিলেন খেলতেই পারবেন না, তবু লড়াই চালিয়ে যান তিনি।
এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হনুমা বলেন, “আমি যখন ব্যাট করতে নেমেছিলাম, পূজারা ভাল খেলছিল। আমরা কিছু সিঙ্গলস নিচ্ছিলাম। কিন্তু হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেতেই বুঝতে পারি দৌড়তে পারব না। মাঠে ফিজিয়ো এলে তাঁকে সেই কথা বললে, পেনকিলার দেন তিনি। তবুও দৌড়তে অসুবিধা হচ্ছিল।” উল্টো দিকে থাকা পূজারা বলেন, “ক্রিজে টিকে থাকো, ২টো বল খেলে দেখো কেমন মনে হচ্ছে।” তখনও অসুবিধা হচ্ছিল ফের ফিজিয়ো মাঠে আসেন, টেপ জড়িয়ে দেন চোটের জায়গাটায়। কিছু ওভার পরেই আউট হয়ে যান পূজারা। চাপ বাড়ে হনুমার ওপর।
চা বিরতির পর পেনকিলার ইনজেকশন নিয়ে খেলেছিলেন হনুমা। তিনি বলেন, “নিজেকে বলেছিলাম ২০ মিনিট পরেই চা বিরতি, ততক্ষন অবধি টিকে থাকতেই হবে। ড্রেসিংরুমে ফিরতে দল আমাকে বলে, ‘ভারতের কাছে তুমি দায়বদ্ধ। তোমার ওপর বিশ্বাস রাখার মর্যাদা দিতেই হবে।” সিরিজে প্রথম ২ ম্যাচে খুব ভাল খেলতে পারেননি হনুমা। এই ম্যাচে তাঁকে তবুও সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। সেই বিশ্বাসের মর্যাদা রাখতেই হতো তাঁকে, এমনই মনে করেছিলেন হনুমা। সেখান থেকেই লড়াইয়ের রসদ পেয়েছিলেন তিনি।
সিডনিতে ১৬১ বলে ২৩ রান করেন হনুমা। ৪ ঘণ্টা ধরে ব্যাট করার সময় অশ্বিনকে বলেন, “লায়নকে খেলতে গেলে পায়ের ওপর চাপ পড়ছে। আমি পেসারদের খেলছি, তুমি লায়নকে খেলো। ভেবে নিয়েছিলাম ৬টা বল খেলব, ৬টা বল রেস্ট নেব।” এই পরিকল্পনাতেই সিডনিতে ড্র করে ভারত। ব্রিসবেনে খেলতে যাওয়ার আগে সিরিজে সমতা রেখে দেন হনুমারা। ম্যাচ শেষে যদিও চোট সারাতে দেশে ফিরে আসতে হয় তাঁকে। ব্রিসবেনে খেলতে পারেননি তিনি।