India

India tour of England: মানসিক সমস্যার কথা বললেই বিলেত সফরে মিলবে বিশ্রাম, জানিয়ে দিলেন বিরাট কোহলী

ব্যাটসম্যান কিংবা বোলার, কেউ ছন্দ হারাতেই পারেন। ফলে সেই ক্রিকেটারের মানসিক সমস্যায় ভোগা খুবই স্বাভাবিক।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২১ ২১:৩৯
Share:

মানসিক দৃঢ়তা বজায় রাখা থেকে লক্ষ্য বিলেতে জোড়া সিরিজ জয়, অকপট বিরাট কোহলী। ফাইল চিত্র

তেমন বিশ্রাম কোথায়! এক নাগাড়ে ক্রিকেট খেলে ক্লান্ত। এর মধ্যে করোনাকালে আবার যোগ হয়েছে দিনের পর দিন নিভৃতবাসে থাকার পালা। কিন্তু একবার মাঠে নেমে গেলে জিততেই হবে। দেশের জার্সিতে নিজেদের মেলে ধরতে না পারলেই শুরু হয়ে যাবে একারাশ সমালোচনা। তাই ২ জুন রাতে বিলেত উড়ে যাওয়ার আগে সতীর্থদের মানসিক দৃঢ়তা বাড়ানোর উপর জোর দিতে বললেন বিরাট কোহলী

Advertisement

বিশ্ব টেস্ট ফাইনাল খেলার পর ছয় সপ্তাহের বিশ্রাম। এরপর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। সেটা শেষ হলে দেশেও ফিরতে পারবেন না রোহিত শর্মা, ঋষভ পন্থরা। বিলেত থেকে সোজা সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে পা রাখতে হবে। আইপিএল-এর দ্বিতীয় পর্বের জন্য। আইপিএল শেষ হলে আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দিন গোনা শুরু হয়ে যাবে।

তাই এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে এসে কোহলী বলেন, “দিনের পর দিন নিভৃতবাসে থেকে ক্রিকেটের এক ঘরানা থেকে অন্য ঘরানায় নিজেকে মেলে ধরা খুব কঠিন। একই নিয়মের মধ্যে দিনের পর দিন থাকতে কার ভাল লাগে বলুন! শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তবুও কোনও উপায় নেই। কারণ দেশের হয়ে খেলতে নামলেই বাড়ে প্রত্যাশার পারদ। সেখানে ভাল না করতে পারলেও নিজের মনের উপর মারাত্মক চাপ পড়ে। তবুও ফেলে আসা দিনের ব্যর্থতা ভুলে আবার নতুন ভাবে শুরু করতে হয়। এ ভাবেই আমাদের খেলতে হচ্ছে। সেটা মেনে নিয়েছি। সতীর্থদেরও বলেছি অহেতুক চাপ নেবে না। বরং মানসিক দৃঢ়তা বজায় রাখতে হবে।”

Advertisement

সামনে লম্বা সফর। দলে চোট-আঘাত সমস্যা হতে পারে। ব্যাটসম্যান কিংবা বোলার, কেউ ছন্দ হারাতেই পারেন। ফলে সেই ক্রিকেটারের মানসিক সমস্যায় ভোগা খুবই স্বাভাবিক। তাই কোহলী ও মুখ্য প্রশিক্ষক রবি শাস্ত্রী দলে একটি নীতি চালু করতে চলেছেন। সেই নীতিও সাংবাদিক সম্মেলনে তুলে ধরলেন ভারত অধিনায়ক। কোহলী বলেন, “এত লম্বা সফরে কারও মানসিক সমস্যা হতেই পারে। সেই সমস্যা শুধু ক্রিকেটের জন্য নয়, তাঁর ব্যক্তিগত জীবন থেকেও আসতে পারে। আমরা সবাই এক পরিবারের সদস্য। কেউ যদি নিজের সমস্যার কথা আমাকে ও রবি ভাইকে জানায় সেটা শোনার পর আমরা তাঁকে কয়েক দিনের বিশ্রাম দেব। এতে সেই ক্রিকেটারের মন ও মাথা শান্তি পাবে। দলকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে হলে এই নীতি মেনে চলা খুবই জরুরী। সেটা না হলে একজনের মানসিক অক্ষমতা গোটা সাজঘরের পরিবেশকে নষ্ট করবে।”

আর তাই বিশ্ব টেস্ট ফাইনালের মতো কঠিন ম্যাচ দিয়ে সফর শুরু হলেও কোহলী বাড়তি চাপ নিতে নারাজ। সেটা দেশ ছাড়ার আগে জানিয়েও দিলেন। বললেন, “বিশ্ব টেস্ট ফাইনাল অবশ্যই কঠিন। অনেক বড় মঞ্চ। বিপক্ষে আবার রয়েছে নিউজিল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দল। তবুও আমরা একফোঁটাও চাপ নিচ্ছি না। গত কয়েক বছর আমরা যেমন চাপমুক্ত হয়ে খেলেছি, এ বারও সেই মানসিকতা নিয়েই মাঠে নামব। একেবারে খোলা মনে আগামী ছয়টা টেস্ট খেলব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement