রবিবার সিডনিতে বল করছেন হার্দিক। ছবি: বিসিসিআই।
বোলিংয়ের জন্য পুরো ফিট নন, জানিয়েছিলেন প্রথম এক দিনের ম্যাচের পর। কবে থেকে বল করতে পারবেন, তা এখনই ঠিকঠাক বলতে পারছেন না, শোনা গিয়েছিল তাঁর মুখে। অথচ, দলের প্রয়োজনে রবিবারই সিডনিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪৩৪ দিন পর বল করতে দেখা গেল হার্দিক পাণ্ড্যকে।
২০১৯ সালে ইংল্যান্ডে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে শেষ বার বোলিং করেছিলেন হার্দিক। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচের পর পিঠে চোটের কারণে আর বল করেননি তিনি। সিডনিতে প্রথম এক দিনের ম্যাচেও খেলেছেন ব্যাটসম্যান হিসেবেই। যার ফলে দলের ভারসাম্যে টান পড়ছিল।
এই পরিস্থতিতে প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচের পর টি২০ বিশ্বকাপের আগে বোলিং শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন হার্দিক পান্ড্য। বলেছিলেন, “আমি দীর্ঘকালীন লক্ষ্য সামনে রেখে চলছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে যাতে বোলিংয়ে ১০০ শতাংশ দিতে পারি, সেটাই চাইছি। বিশ্বকাপ আসছে। আরও গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ রয়েছে। আমি চাইছি না এখন বল করতে গিয়ে কোনও চোট পেতে। একটা পদ্ধতি মেনে চলছি। কখন থেকে বল করব তা বলতে পারছি না। নেটে আমি বল করছি। কিন্তু ম্যাচে বল করার জন্য তৈরি নই।”
আরও পড়ুন: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, মারাত্মক অভিযোগ পাকিস্তান অধিনায়কের বিরুদ্ধে
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি! বলছে ‘সবজান্তা’ গুগল
সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে সদ্যসমাপ্ত আইপিএলেও বল করেননি হার্দিক পান্ড্য। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে ব্যাটসম্যান হিসেবেই খেলেছিলেন তিনি। রবিবার তাঁকে দলের সপ্তম বোলার হিসেবে আক্রমণে আনেন অধিনায়ক বিরাট কোহালি। ঘন্টায় ১৩১-১৩২ কিমি গতিতে বল করেন তিনি। পিঠের চোট যাতে না বাড়ে, তাই রান-আপে সামান্য বদলও দেখা যায়। কিন্তু নিশানায় অভ্রান্ত ছিলেন তিনি। ৪ ওভারে দেন ২৪ রান। নেন স্টিভ স্মিথের মূল্যবান উইকেট।
তাঁকে বল করতে দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় চর্চা। ক্রিকেটপ্রেমীরা মেতে ওঠেন তাঁর প্রশংসায়।