বিচ্ছেদের খবরের মাঝেই হাসি মুখে শোয়েব, সানিয়া। —ফাইল চিত্র
বেশ কিছু দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে সানিয়া মির্জা এবং শোয়েব মালিকের বিচ্ছেদের খবর। কিন্তু এর মাঝেই প্রকাশ্যে এল দু’জনের একসঙ্গে একটি পোস্টার। স্বামী শোয়েবের কাঁধে হাত রেখে হাসি মুখে দাঁড়িয়ে সানিয়া। তবে কি বিচ্ছেদের খবরটি ভুয়ো? বিভ্রান্ত তাঁদের সমর্থকেরা।
শনিবার রাতে ‘উর্দুফ্লিক্স’ নামে একটি ওটিটি মাধ্যমে সানিয়া এবং শোয়েবের একসঙ্গে শো-য়ের ঘোষণা হয়। অনুষ্ঠানটির নাম ‘দ্য মির্জা মালিক শো’। যে দুই ব্যক্তির বিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা চলছে, তাঁরা একসঙ্গে শো করবেন শুনে অবাক অনেকেই। যদিও শোনা যাচ্ছে যে, এই শো-য়ের জন্যই এখনও সরকারি ভাবে বিচ্ছেদের কথা জানাচ্ছেন না দম্পতি। তাতে আইনি সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কারণেই সানিয়া এবং শোয়েবের বিচ্ছেদের খবর ছড়িয়ে পড়লেও চুপ করে রয়েছেন দুই তারকা।
তারকা দম্পতির কেউই এখনও এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি। কিন্তু তাঁদের বিচ্ছেদের খবরে সিলমোহর দিয়েছিলেন দু’জনেরই ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু। যিনি আবার শোয়েবের ম্যানেজমেন্ট দলের সদস্যও। কয়েকটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সেই বন্ধুটি বলেছেন, “দু’জনের বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। তাঁরা এখন আলাদা থাকাও শুরু করে দিয়েছেন। এর বেশি এখন আর কিছুই বলতে পারব না।’’
সূত্রের খবর, সানিয়া এবং শোয়েব একসঙ্গে থাকছেন না। তাঁদের একমাত্র সন্তান ইজহান মির্জা মালিককে যদিও তাঁরা একসঙ্গেই দেখাশোনা করছেন বলে জানা গিয়েছে। শোয়েবের অন্য কোনও মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে গুঞ্জন। সে কারণেই ১২ বছরের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জল্পনা। এই গুঞ্জন আরও বেড়েছিল নেটমাধ্যমে সানিয়ার কিছু পোস্টের পর।
ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরিতে সানিয়া লিখেছিলেন, “ভাঙা হৃদয় কোথায় যায়? ঈশ্বর খুঁজতে।” ভারতের অন্যতম সেরা টেনিস তারকা ছেলের সঙ্গে একটি ছবিও পোস্ট করেন। তাতে দেখা যাচ্ছে ইজহান তাঁকে চুমু খাচ্ছে। সেই সঙ্গে সানিয়া লিখেছিলেন, “যে মুহূর্তগুলো কঠিন সময় পার করে দেয়।”
ফেসবুকে একটি পোস্টে সানিয়ার বাবা ইমরান মির্জা লিখেছিলেন, “গত কয়েক দিন ধরে আমাদের জীবনের একটি নির্দিষ্ট বিষয়কে নিয়ে প্রকাশ্যে অনেক আলোচনা হচ্ছে, যাতে আমি এবং আমার পরিবার বিধ্বস্ত। অর্ধ সত্য একটি বিষয়কে নিয়ে অনেকেই আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে বিরক্ত করছেন। একের পর এক প্রশ্নে তাঁরা উত্যক্ত করছেন। শোয়েব মালিক এবং সানিয়া মির্জা গত ১২ বছর ধরে বিবাহিত জীবন কাটাচ্ছে। বাকিদের মতোই ওদের জীবনেও ওঠানামা রয়েছে। টম, ডিক এবং হ্যারির মতো কিছু ব্যক্তি সেটাকে নিয়ে উত্তেজক কাহিনি তৈরির করার চেষ্টা করছে, যা আমরা কোনও মতেই সমর্থন করি না।”
ইমরান আরও লিখেছিলেন, “জীবনের সব উত্তর হ্যাঁ বা না-তে হয় না। ক্রীড়াজগতে ওরা দু’জনেই আদর্শ। পরিবারের কথা মাথায় না রেখে নিজেদের গোটা জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছে দেশকে গর্বিত করতে। ওরা আরও বেশি সমীহ প্রত্যাশা করে। এখন অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপ চলছে। দয়া করে নিজেদের দেশকে সমর্থন করার দিকে মনোযোগ দিন!”