স্পেন বা পর্তুগালের লিগে খেলতে গেলে মেটাতে হবে সে দেশের সংস্থার মোটা অঙ্কের আর্থিক চাহিদা। তাই বিদেশের লিগে নয়। ভারতের মাটিতে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ শেষ হলে অভিজিৎ সরকার, কোমল থাটাল-দের খেলতে দেখা যাবে এ বারের আই লিগে। মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে টেকনিক্যাল কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্তই নিল ফেডারেশন। আর তা নিয়েই জেগে উঠল একাধিক প্রশ্ন।
বিশ্বকাপের পর ভারতের অনূর্ধ্ব-১৭ দলের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে নানা জল্পনা চলছিল গত কয়েকদিন ধরেই। শোনা গিয়েছিল, বিশ্বকাপের পর পর্তুগাল বা স্পেনের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সারির লিগে খেলানো হতে পারে জাতীয় দলকে। কিন্তু সেক্ষেত্রে যে খরচ হত তা এই মুহূর্তে বহন করতে রাজি নয় এআইএফএফ। ফলে, মঙ্গলবার ফেডারেশনের টেকনিক্যাল কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, অক্টোবরে বিশ্বকাপ শেষ হলে, টুর্নামেন্টে ভারতীয় দলের সেরা ফুটবলারদের সঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ছেলেদের কয়েকজনকে নিয়ে একটি বিশেষ টিম তৈরি হবে। ফেডারেশনের সেই টিম খেলবে ২০১৭-১৮ মরসুমের আই লিগে।
বেঙ্গালুরু থেকে ফোনে ফেডারেশনের টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান শ্যাম থাপা বললেন, ‘‘অনূর্ধ্ব-১৭ দল ধরে রাখতে হবে আগামী তিন-চার বছর। কারণ অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ খেলতে গেলে এই ছেলেদের লাগবে। তাই এই সিদ্ধান্ত।’’
আরও পড়ুন: বাঁ হাতি পেসারের খোঁজে ভরত অরুণ
এ দিনের বৈঠকে ফেডারেশন সচিব কুশল দাস এবং শ্যাম থাপা ছাড়াও হাজির ছিলেন অনূর্ধ্ব-১৭ দলের কোচ লুইস নর্টন দে মাতোস, ওই দলের সিইও অভিষেক যাদব-সহ ফেডারেশনের কর্মসমিতির বেশ কয়েকজন সদস্য। সেখানেই ঠিক হয়, ফেডারেশনের তরফে নিযুক্ত স্পটার আই লিগে খেলার জন্য ফুটবলার বাছতে বিশ্বকাপে ভারতের ম্যাচ দেখতে হাজির থাকবেন।
তবে ফেডারেশন এই সিদ্ধান্ত নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। এক, মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গলের মতো আই লিগের দলগুলো যখন পাঁচ বিদেশি নিয়ে মাঠে নামবে তখন দ্বিগুণ বয়সের এই ফুটবলারদের সঙ্গে অসম প্রতিযোগিতায় কতটা তৈরি এই দল।
দুই, আই লিগে জুনিয়র ফুটবলাররা বড় চোট পেয়ে হারিয়ে গেলে কী হবে?
তিন, আগামী দু’-এক বছরের মধ্যে আই লিগ ও আইএসএল এক হয়ে গেলে সেখানে খেলতে পারে মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল। তখন দ্বিতীয় সারির দলগুলোর সঙ্গে খেলে কতটা লাভ হবে তমাল নস্কর, অভিজিৎ সরকার-দের?চার, এ বার আই লিগে দু’টি কর্পোরেট টিম নেওয়ার কথা ছিল। ফেডারেশনের টিম খেললে, তা হলে কি একটি মাত্র কর্পোরেট টিম নেওয়া হবে? সেক্ষেত্রে আই লিগ যে ভারতীয় বাণিজ্যকরণে ব্যর্থ সেই বার্তাই কার্যত স্বীকার করতে হবে আইএমজি-রিলায়্যান্সের কাছে।