ইরফান খানকে বোল্ড করার পর উচ্ছ্বসিত কার্তিক ত্যাগী। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠতে প্রিয়ম গর্গদের চাই ১৭৩ রান। মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকার পোচেস্ট্রুমে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব-১৯ দল পুরো পঞ্চাশ ওভার ব্যাট করতে পারল না।ভারতীয় বোলারদের দাপটে ৪৩.১ ওভারে ১৭২ রানে থেমে গেল পাকিস্তানের ইনিংস।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান কখনই স্বস্তিতে ছিল না। নয় ওভারের মধ্যে দুই উইকেট পড়ে গিয়েছিল তাদের। দ্বিতীয় উইকেটে ৬২ রান ছাড়া ইনিংস জুড়ে তেমন কোনও বড় জুটি হল না। বরং, নিয়মিত ব্যবধানে পড়তে থাকল উইকেট। ৩০ থেকে ৪০, এই ১০ ওভারে চার উইকেট পড়ল পাকিস্তানের। আর শেষ ছয় উইকেট পড়ল মাত্র ২৬ রানে! অধিনায়ক রোহেল নাজির (৬২), হায়দর আলি (৫৬) ছাড়া কোনও ব্যাটসম্যান ভারতীয় বোলারদের চাপে ফেলতে পারলেন না।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর ব্যাগ বইছে! স্টুয়ার্ট বিনিকে নিয়ে খোঁচার জবাব দিলেন মায়ান্তি
আরও পড়ুন: ওপেনিংয়ে পৃথ্বী-ময়াঙ্ক, ওয়ানডে সিরিজেও পজিটিভ ক্রিকেট খেলার প্রতিশ্রুতি কোহালির
বরং ভারতীয় বোলারদের আগ্রাসনের সামনে অসহায় দেখাল পাক ব্যাটসম্যানদের। ২৮ রানে তিন উইকেট নেওয়া বাঁ-হাতি পেসার সুশান্ত মিশ্রই সফলতম বোলার। কার্তিক ত্যাগি (২-৩২), রবি বিষ্ণোইরা (২-৪৬) সারাক্ষণ চাপ রেখে গেলেন বিপক্ষ ইনিংসে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালের সেরা হয়েছিলেন পেসার কার্তিক ত্যাগী। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালেও সেই মেজাজে বল করলেন তিনি।বিশেষজ্ঞদের নজর কাড়লেন জোধপুরের লেগস্পিনার রবি বিষ্ণোইও। তাঁর প্রশংসায় উচ্ছ্বসিত শোনাল প্রাক্তন ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার ইয়ান বিশপকে। বিষ্ণোইকে ‘জাদুকর’ হিসেবে চিহ্নিত করলেন তিনি।