উদ্বেগ: ম্যাচে একা হয়ে যাচ্ছেন সুনীল। মত বিজয়নের। ফাইল চিত্র
মাত্র তিনটে ম্যাচ খেলার পরেই জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছেন জবি জাস্টিন। তিনি থাকলে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে ভারতীয় ফুটবলের ছবিটা এত বিবর্ণ হত না বলে মনে করছেন আই এম বিজয়ন।
ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গত মরসুমে আই লিগে দুর্দান্ত খেলা জবিকে জাতীয় দলে নেওয়ার জন্য বারবার সরব হয়েছিলেন বিজয়ন। কিন্তু স্টিভন কনস্ট্যান্টাইনের জমানায় ভারতের জার্সি গায়ে খেলার স্বপ্ন অধরাই থেকে গিয়েছিল প্রতিশ্রুতিমান স্ট্রাইকারের। ইগর স্তিমাচ কোচ হওয়ার পরে সুযোগ পান জবি। গত জুলাই মাসে আন্তর্মহাদেশীয় কাপের তিনটি ম্যাচও খেলেন। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের প্রস্তুতি শিবিরেও তিনি ছিলেন। কিন্তু চূড়ান্ত দলে ডাক পাননি জবি।
বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে ‘ই’ গ্রুপে পাঁচ ম্যাচে ভারতের পয়েন্ট তিন। এখনও পর্যন্ত জয় অধরা সুনীল ছেত্রীদের। পাঁচটির মধ্যে হার দুই ম্যাচে। ড্র তিনটিতে। এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি, তাতে পরের পর্বে ভারতীয় দলের যোগ্যতা অর্জনের সম্ভাবনা ক্ষীণ। কেন এই বেহাল অবস্থা ভারতীয় দলের? ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মতো দেশের বিরুদ্ধেও কেন জিততে ব্যর্থ ইগরের ছেলেরা। জাতীয় দলের কোচের মতে প্রধান সমস্যা, বিপক্ষের পেনাল্টি বক্সের সামনে ফুটবলারদের ছন্দ হারিয়ে ফেলা। আবার ভারতীয় ফুটবলের সর্বকালের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার বিজয়ন মনে করছেন, এক স্ট্রাইকারে খেলার পরিকল্পনাতেই এই বিপর্যয়। কারণ, সুনীল একা হয়ে যাচ্ছেন। হতাশ ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়কের বিশ্লেষণ, ‘‘একা সুনীল কী করবে? ওকে সাহায্য করার মতো কাউকে দেখলাম না। মনবীর প্রতিশ্রুতিমান। কিন্তু একা দলকে জেতানোর দক্ষতা এখনও আয়ত্ত করতে পারেনি। জবি থাকলে এই সমস্যাটা হত না।’’ কেন? বিজয়নের ব্যাখ্যা, ‘‘জবি লড়াকু। সহজে হাল ছাড়ে না। ফরোয়ার্ডে সুনীলের সঙ্গে জবি খেললে বিপক্ষের ফুটবলারেরাও চাপে থাকবে। গোল হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়বে। আশা করছি, ইগর নিশ্চয়ই জবির কথা ভাববেন।’’
ভারতীয় শিবিরের অন্দরমহলের খবর, এটিকে স্ট্রাইকার প্রবল ভাবেই ইগরের ভাবনায় রয়েছেন। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে ভারতের এখনও তিনটি ম্যাচ বাকি। তাই এটিকে স্ট্রাইকারের জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনা যথেষ্ট উজ্জ্বল। ঘনিষ্ঠ মহলে ইগর জানিয়েছেন, আইএসএলে নিজেকে প্রমাণ করতে পারলেই জবিকে জাতীয় দলে ডাকবেন তিনি।