বিতর্ক: সাহালকে (বাঁ দিকে) নিয়ে কেরল শিবিরে অশান্তি। ফাইল চিত্র
আইএসএলের দ্বিতীয় ম্যাচে মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে হারের পরে কেরল ব্লাস্টার্সের অন্দরমহলে ঢুকে পড়ল অশান্তির কালো মেঘ! নেপথ্যে কোচ এলকো সাতৌরি বনাম সাহাল আব্দুল সামাদ দ্বন্দ।
২২ বছর বয়সি সাহালকে ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যতের তারকা বলা হচ্ছে। জাতীয় কোচ ইগর স্তিমাচের অত্যন্ত পছন্দের ফুটবলার তিনি। ২০২২ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে এখনও পর্যন্ত তিনটি ম্যাচ খেলেছে ভারতীয় দল। এর মধ্যে দু’টি ম্যাচে (ওমান ও বাংলাদেশ) প্রথম একাদশে সাহালকে রেখেছিলেন ইগর। ফুটবল বিশেষজ্ঞেরাও উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন প্রতিশ্রুতিমান মিডফিল্ডারের খেলায়। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের বিচারে সেরা প্রতিশ্রুতিমান ফুটবলারের পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। ব্যতিক্রম এলকো।
কেরল শিবিরের অন্দরমহলের খবর, সাহালকে একেবারেই পছন্দ নয় ডাচ কোচের। সূত্রের খবর প্রতিশ্রুতিমান মিডফিল্ডারকে নাকি তিনি মুখের উপরেই বলে দিয়েছেন, তুমি অপদার্থ! ফুটবল খেলতেই পারো না। এই কারণেই আইএসএলের উদ্বোধনী ম্যাচে এটিকের বিরুদ্ধে প্রথম দলে সাহালকে রাখেনি ডাচ কোচ। পরিবর্ত হিসেবে ৮১ মিনিটে মাঠে নামেন জাতীয় দলের মিডফিল্ডার। যা দেখে গ্যালারিতে বসে থাকা ইগরও বিস্মিত হন বলে ওয়াকিবহাল মহলের খবর। ঘনিষ্ঠ মহলে রীতিমতো উষ্মা প্রকাশ করেছেন জাতীয় কোচ। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সাহালের ভবিষ্যৎ নিয়ে। ইগরের আশঙ্কা, বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে ভারতের এখনও পাঁচটি ম্যাচ বাকি রয়েছে। পরের রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনাও শেষ হয়ে যায়নি। কিন্তু এ ভাবে চলতে থাকলে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলবেন মাঝমাঠের অন্যতম ভরসা। তবে এটিকের বিরুদ্ধে পিছিয়ে থেকেও দুর্দান্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে কেরল ২-১ জেতায় কোনও বিতর্ক হয়নি।
দ্বিতীয় ম্যাচে ঘরের মাঠে মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে হারতেই প্রকাশ্যে চলে আসে বিবাদ। বলিউড তারকা রণবীর কপূরের দলের বিরুদ্ধে সাহাল মাঠে নেমেছিলেন ৭৮ মিনিটে। দু’টি ম্যাচেই তিনি যখন মাঠে নামছিলেন, কোচির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামের গ্যালারি উত্তাল হয়ে উঠেছিল ঘরের ছেলেকে স্বাগত জানাতে। কেরলের কেউ কেউ তো খোলাখুলি বলছেন, ‘‘ইয়ান হিউমকে নিয়ে এ ভাবেই মেতে উঠতেন কেরলের দর্শকেরা। সাহালকে নিয়েও সেই উন্মাদনার ছবি চোখে পড়ল। তরুণ ফুটবলারের এই জনপ্রিয়তাও পছন্দ নয় এলকোর।’’