মুখে টেপ আটকে অনুশীলন শিয়নটেকের। ছবি: টুইটার।
সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ক্রীড়াবিদেরা অনেক সময় অভিনব পন্থা নেন অনুশীলনে। তেমনই অভিনব ভাবে অনুশীলনে করে আলোচনায় উঠে এসেছেন ইগা শিয়নটেক। বিশ্বের এক নম্বর মহিলা টেনিস খেলোয়াড় অনুশীলন করলেন মুখে টেপ লাগিয়ে।
মন্ট্রিয়ল ওপেনে শিয়নটেকের অভিনব অনুশীলনের ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ক্রীড়াপ্রেমীদের মধ্যে উৎসাহ তৈরি হয়েছে। পোল্যান্ডের টেনিস খেলোয়াড় নিজেই জানিয়েছেন এ ভাবে অনুশীলনের কারণ। ফিটনেস কোচ ম্যাকিয়েজ রিসজ়ুকের পরামর্শেই মুখে টেপ আটকে অনুশীলন করছেন তিনি।
এ ভাবে অনুশীলন করলে কী লাভ হবে? শিয়নটেক জানিয়েছেন, সহনশীলতা বৃদ্ধি করার জন্য শরীরে অতিরিক্ত অক্সিজেন প্রবেশের রাস্তা বন্ধ করেছেন তিনি। বিশ্বের এক নম্বর মহিলা টেনিস খেলোয়াড় বলেছেন, ‘‘অনুশীলন বা খেলার সময় শুধু নাক দিয়ে শ্বাস নেওয়া একটু কঠিন হয়। তাতে হৃদ্স্পন্দন বৃদ্ধি পায়। আমি অবশ্য এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ নই। কোচেরা মাঝেমধ্যে আমাকে নানা ভাবে অনুশীলন করার পরামর্শ দেন। অনেকগুলোর কারণ জানি না। বুঝিও না সব। তাই সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। মুখে টেপ লাগিয়ে অনেক দিন ধরেই অনুশীলন করছি আমি। এখন বিষয়টা সহজ হয়ে গিয়েছে।’’
২২ বছরের টেনিস খেলোয়াড় আরও বলেছেন, ‘‘স্বাভাবিক ভাবে অনুশীলন করার থেকে এ ভাবে অনুশীলন করা কঠিন। কোর্টের বিভিন্ন অংশে দ্রুত পৌঁছনো যায় না। তাড়াতাড়ি দৌড়ানো যায় না। তা-ও পৌঁছনোর চেষ্টা করতে হয়। তাতে সহ্য এবং লড়াই করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।’’
শিয়নটেকের কোচিং টিমে সব সময় এক জন মনোবিদও থাকেন। নিয়মিত শিয়নটেকের মস্তিষ্ক এবং ফুসফুসের কার্যক্ষমতা পরীক্ষা করা হয়। মনোবিদ পরীক্ষা নেন তাঁর উপস্থিত বুদ্ধিরও। নানা রকম ধাঁধা এবং মজার খেলার মাধ্যমে তিনি সাহায্য করেন শিয়নটেককে। যাতে কোর্টে লড়াইয়ের সময় বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় সহজে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
উইম্বলডন জিততে না পারার পর নিজেকে আবার নতুন করে তৈরি করছেন শিয়নটেক। তাঁর চোখ এখন ইউএস ওপেনে। বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিততে চান। তাই অনুশীলনে বাড়তি পরিশ্রম করছেন তিনি। কানাডায় খেলতে আসার আগে নিজের দেশে ওয়ারশ ওপেন জিতেছেন চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক।