ভারতীয় মিডল অর্ডার নিয়ে মুখ খুললেন জাহির আব্বাস। ছবি: ফাইল চিত্র
গ্রুপ লিগে ভাল খেললেও সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায় নেয় ভারত। পাকিস্তানের প্রাক্তন ব্যাটসম্যান জাহির আব্বাস মনে করেন, এর জন্যে দায়ী ভারতের মিডল অর্ডারের চাপ নেওয়ার অক্ষমতা। গ্রুপ লিগের ম্যাচে ওপেনিংয়ে রান পেয়েছেন রোহিত শর্মা, কখনও শিখর ধওয়ন আবার কোনও ম্যাচে লোকেশ রাহুল। আবার কোনও ম্যাচে বিরাট কোহালি সামলে দিয়েছেন রান করে। কিন্তু নকআউট পর্বে পাঁচ রানের মধ্যে প্রথম তিন ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যান ফিরে যাওয়ায় প্রথম বার বড় পরিক্ষার সামনে পরে ভারতীয় মিডল অর্ডার। কিন্তু সেই চাপ নিতে পারেনি তারা। জাহির আব্বাস বলেন ২০১৭-র চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একই ভাবে ব্যর্থ হয়েছিল বিরাট বাহিনী।
পাকিস্তানের হয়ে চারটি দ্বিশতরান করা আব্বাস মনে করেন, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস কাল হয়ে দাঁড়ায় ভারতের। ২৪০ রানের এই টার্গেট খুব কঠিন ছিল না। কিন্তু সেটাকে অতিরিক্ত সহজ ভাবে নেওয়ার মাসুল দিতে হল তাদের। ধোনির শেষ অবধি খেলা নিয়ে যাওয়া, জাডেজার ব্যাটিং-এর প্রশংসা করলেও ‘এশিয়ার ব্র্যাডম্যান’ বলেন যে, নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন বুদ্ধিতে পরাস্ত করেন বিরাটদের। যে ভাবে তিনি তাঁর প্রথম সারির বোলারদের দিয়ে আক্রমণ করে গেলেন তাঁর প্রশংসা করেন তিনি।
ধোনির অবসর নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি জাহির। তিনি মনে করেন এটা একান্তই ধোনির নিজস্ব ব্যাপার। তবে এই বিশ্বকাপে তাঁর ব্যাটিং অর্ডার বার বার পাল্টানোয় বিরক্ত তিনি। আব্বাসের মতে, এই ভাবে কখনওই একজন ব্যাটসম্যান স্থিরতা পায় না। তাঁর খেলাতেও প্রভাব পরে। ধোনির মধ্যে এখনও ক্রিকেট বেঁচে আছে এই বিশ্বাস রয়েছে প্রাক্তন পাক তারকার।
আরও পড়ুন: ‘যারা চ্যাম্পিয়ন হবে, আমাদের চেয়ে কম ম্যাচ জিতেছে’
হার্দিক পাণ্ড্য ও ঋষভ পন্থ অতীতে ভাল খেললেও তারা বরাবর চাপ নিতে ব্যর্থ। আব্বাস মনে করেন, অজিঙ্ক রাহানে বা চেতেশ্বর পূজারার মতো ব্যাটসম্যানদের একদিনের দলে নির্বাচন না হওয়ার পেছনে নিশ্চয়ই কোনও কারণ আছে। নির্বাচকরা যদি এই ব্যাটসম্যানদের স্লো মনে করেন, তা হলে তাঁদের প্রথম তিন জনের মধ্যে নামানো উচিত। তবে ভারতীয় টিম মনেই করেনি যে তাঁদের ব্যাটিং-এ কোনও চাপ আসতে পারে। এই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসই শেষ করে দিল তাঁদের।
জাহির আব্বাসের মতে এ বারের বিশ্বকাপ জেতার দাবিদার ইংল্যান্ড। ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে উঠলেও নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারানো কঠিন। তাই এ বারের বিশ্বকাপ ফাইনালে তাঁর বাজি আয়োজক দেশ ইংল্যান্ড।