পরীক্ষা: রুটদের পাল্টা চাপে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ আমিরদের। এএফপি
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজে ০-৪ হেরেছে পাকিস্তান। বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগেই ছিল সেই সিরিজ। চারটি ম্যাচেই পাকিস্তান বোলিংকে শাসন করে ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানেরা। সোমবার ট্রেন্ট ব্রিজে সেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচ পাকিস্তানের। চলতি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খাওয়া পাকিস্তান কি উঠে দাঁড়াবে?
ট্রেন্ট ব্রিজের যে পিচে খেলা, সেখানেই ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিল ইংল্যান্ড। ছয় উইকেট হারিয়ে ৪৮১ রান করেছিলেন জো রুটরা। এখনও পর্যন্ত এটাই ওয়ান ডে-র সর্বোচ্চ স্কোর। পাকিস্তানের বর্তমান বোলারদের বিরুদ্ধে আরও এক বার সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে পারবে অইন মর্গ্যানের দল? পাকিস্তান বোলিং কোচ আজ়হার মেহমুদ তা মনে করেন না। ম্যাচের এক দিন আগে তাঁর হুঙ্কার, ‘‘জানি ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন-আপ বিশ্বের সেরা। যে পিচে খেলা হতে চলেছে সেখানেই দু’বছর আগে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু ফের সেই রান তুলতে গেলে ওদের অন্তত ৩০০টি বল খেলতে হবে। কিন্তু ওদের দশটি উইকেট তুলতে গেলে আমাদের দশটি ভাল ডেলিভারি লাগবে। আমার বিশ্বাস, আমাদের বোলারদের সেই ক্ষমতা রয়েছে।’’ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ১০৫ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের ইনিংস। আন্দ্রে রাসেল, জেসন হোল্ডারদের শরীর লক্ষ্য করা ডেলিভারির বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই পারেননি ফখর জ়মান, ইমাম-উল-হকরা। ইংল্যান্ডের কাছেও ঘণ্টায় ১৫০ কিমি বল করার মতো পেসার রয়েছেন। সেই জোফ্রা আর্চারের কথা মাথায় রেখে কী রকম প্রস্তুতি নিল পাকিস্তান? মেহমুদ বলেন, ‘‘শর্ট বলের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করার জন্য যথেষ্ট প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ দেখার পরে প্রত্যেক দল আমাদের বিরুদ্ধে সেই কৌশল প্রয়োগ করবে। তার জন্য পুরোপুরি আমরা তৈরি।’’
পাকিস্তান যে কখন কোন দলকে হারাবে, আর কাদের বিরুদ্ধে হেরে যাবে তা হয়তো নিজেরাও অনুমান করতে পারেন না। তবে ইংল্যান্ডকে হারালে তা অঘটন হিসেবে ধরবেন না বোলিং কোচ। ‘‘ইংল্যান্ডকে হারানোর যথেষ্ট ক্ষমতা আমাদের রয়েছে। অনুরোধ করব আমরা ভাল খেললে যেন অঘটন হিসেবে ধরা না হয়।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘ব্যাটিং বোলিং নিয়ে আমাদের সমস্যা নেই। শুধু ফিল্ডিং নিয়ে সামান্য উদ্বেগ রয়েছে। সেটা আগামী ম্যাচে দেখতে পাওয়া যাবে না।’’