ছবি রয়টার্স।
বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে এসে দাপট দেখিয়ে গেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা। গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা তোলে ছয় উইকেটে ৩২৫ রান। জবাবে অস্ট্রেলিয়া আটকে যায় ৩১৫ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকা জেতে ১০ রানে। যে হারের ফলে অস্ট্রেলিয়া লিগ টেবিলে চলে গেল দু’নম্বরে। বৃহস্পতিবার সেমিফাইনালে তাদের সামনে এখন ইংল্যান্ড। এক নম্বরে থাকা ভারত মঙ্গলবার খেলবে নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে।
টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি। মিচেল স্টার্কের করা প্রথম ওভারেই ওঠে ১৪ রান। এর পরে অস্ট্রেলিয়ার বোলিংকে রীতিমতো শাসন করতে শুরু করেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা। এই ম্যাচে খেলছেন না হাসিম আমলা। তাঁর জায়গায় ওপেন করতে নামা আইদেন মার্করাম এবং সঙ্গী ওপেনার কুইন্টন ডি’কক অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণকে বিন্দুমাত্র সমীহ করেননি। স্টার্ক, প্যাট কামিন্স এবং জেসন বেহরেনডর্ফ— তিন জনকেই যথেষ্ট সাদামাঠা দেখিয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংকে ধাক্কা দেন অস্ট্রেলিয়ার অফস্পিনার নেথান লায়ন। তুলে নেন দুই ওপেনার মার্করাম (৩৪) এবং ডি’কক (৫২)-কে। এই পরিস্থিতিতে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন ডুপ্লেসি। ঠিক ১০০ রান করে বেহরেনডর্ফের বলে আউট হয়ে যান দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুর দিকে পরপর উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ওয়ার্নার ও অ্যালেক্স ক্যারি লড়াই চালিয়ে যান। ১১৭ বলে ১২২ রান করেন ওয়ার্নার। ৬৯ বলে ৮৫ রানের ইনিংস খেলে দলকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনার শেষ চেষ্টা করেন ক্যারি। কিন্তু এই দু’জন আউট হওয়ার পরে লড়াই থেকে ছিটকে যায় অস্ট্রেলিয়া। এটাই ইমরান তাহিরের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। যে ম্যাচে নয় ওভারে ৫৯ রান দিয়ে নিলেন ফিঞ্চের উইকেট। স্টিভ স্মিথ করলেন ৬ বলে ৭। প্রথম দিকে চোট পেয়ে উঠে গিয়েছিলেন খোয়াজা। ফিরে করলেন ১৪ বলে ১৮।