প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে জয় পেয়েছে ভারত। বোলিংয়ে যুজবেন্দ্র চহাল সর্বাধিক ৪ উইকেট নিয়ে প্রোটিয়া ব্যাটিংয়ের কোমর ভেঙে দেন। মাত্র ২২৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে রোহিত শর্মার শতরানের উপর ভর করে ম্যাচ মুঠোয় করে ভারত। তবে ম্যাচের শেষে কিছু বিষয় অধিনায়ক বিরাটকে চিন্তায় ফেলতে যথেষ্ট।
ওপেনার শিখর ধওয়নের অফ ফর্ম। বিশ্বকাপের প্রথম দু’টি প্র্যাকটিস ম্যাচের মতোই এই ম্যাচেও তিনি সস্তায় ফিরে যান ডাগআউটে। এ দিন ১২ বল খেলে মাত্র ৮ রান করেই উইকেট রক্ষক ডি ককের তালুবন্দি হন তিনি। তাই ৯ তারিখ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নামার সময় ওপেনার শিখর চিন্তায় রাখবেন দলকে। ছবি: এএফপি।
রোহিত শর্মার দুরন্ত শতরানের উপর ভর করে ভারত ম্যাচ জিতলেও সারা ম্যাচে তাঁর তিনটি নিশ্চিত ক্যাচ মিস করে প্রোটিয়ারা। রোহিত যখন মাত্র ১ রানে ব্যাটিং করছিলেন, তখন কাগিসো রাবাডার দুর্দান্ত একটি বাউন্সারে তাঁর গ্লাভসে বল লাগে, কিন্তু স্লিপ ফিল্ডার সেই ক্যাচ মিস করেন। ছবি: এএফপি।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনির খারাপ উইকেট কিপিং। ভারতের হয়ে প্রায় এক দশক ধরে উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে দলের হয়ে একের পর এক দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিতে দেখা গেলেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচে সেই রকম উচ্চ মানের পারফরম্যান্স দেখা যায়নি তাঁর কাছ থেকে। বার বার তাঁর হাত ফসকে বল বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। ছবি: এএফপি।
অধিনায়ক বিরাটের বড় রান করতে না পারা। আগের দু’টি প্র্যাকটিস ম্যাচের মতোই কালকের ম্যাচেও সেট হওয়ার পর আউট হয়ে গেছেন এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা চেজমাস্টার বিরাট। ছবি: এএফপি।
অধিনায়ক বিরাটের স্ট্রাইক রেট। এই ম্যাচে বিরাট মাত্র ১৮ রান করেন ৩৪ বল খেলে। স্ট্রাইক রেট মাত্র ৫২.৯৪। বিরাট যে মাপের ব্যাটসম্যান তাতে এই ব্যাটিং তাঁকে শোভা পায় না বলে মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞই। ছবি: এএফপি।
চার নম্বরে কে এল রাহুলের ব্যাটিং। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্র্যাক্টিস ম্যাচে শতরান করলেও কালকের ম্যাচে ততটাও ছন্দে দেখা যায়নি তাঁকে। মাত্র ২৬ রান করেই রাবাডার শিকার হন তিনি। এ দিন তাঁর স্ট্রাইক রেটও ছিল অনেক কম। মাত্র ৬১.৯০। ছবি: এএফপি।
ধোনির ম্যাচ ফিনিস না করতে পারা। বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফিনিশার মহেন্দ্র সিংহ ধোনি এ দিন রোহিত শর্মার সঙ্গে ভাল পার্টনারশিপ করে ভারতকে জয়ের রাস্তায় নিয়ে গেলেও, মাঝ পথেই ক্রিস মরিসের শিকার হন তিনি। লক্ষ্যমাত্রা কম থাকায় অবশ্য সমস্যা হয়নি। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা বেশি হলে মাঝ পথে ধোনির আউট ভোগাতো দলকে। ছবি: এএফপি।
ভুবনেশ্বর কুমারের বোলিং। প্রথম পাওয়ার প্লেতে বুমরা দুর্দান্ত বোলিং করলেও সেই তুলনায় ভুবনেশ্বর কুমারের বোলিংয়ে ঝাঁঝ ছিল অনেকটাই ফিকে। শেষে ক্রিস মরিস ও ইমরান তাহিরের উইকেট পেলেও প্রথম স্পেলে সে ভাবে দাগ কাটতে ব্যর্থ হন তিনি। ছবি: এপি।
কুলদীপ যাদবের অফ ফর্ম। সতীর্থ চহাল এ দিন ৪টি উইকেট নিয়ে প্রোটিয়াদের কোমর ভাঙলেও কুলদীপের খাতায় মাত্র একটি উইকেট। আইপিএলের অফ ফর্ম কাটিয়ে এসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৩টি উইকেট নিলেও এ দিন সেই মেজাজে পাওয়া যায়নি কুলদীপকে। অনেকের মতে, কুলদীপ নিজের ফর্মে থাকলে অনেক আগেই প্রোটিয়ারা অলআউট হয়ে যেত। ছবি: এএফপি।
চোটের কারণে ডেল স্টেনের বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়া। দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ বোলার দলে না থাকার জন্য ব্যাটিং করতে গিয়ে ভারতকে ততটাও বেগ পেতে হয়নি। ছবি: এএফপি।
শুধু ডেল স্টেন নয় লুঙ্গি এনগিডিও চোটের কারণে খেলেননি এই ম্যাচে। সুতরাং এমনিতেই দক্ষিণ আফ্রিকার শক্তি অর্ধেক হয়ে গিয়েছিল। তাই সেই দলকে হারিয়ে নিশ্চিন্ত হওয়ার কোনও কারণ নেই বিরাটের। ছবি: এএফপি।
এ ছাড়াও ডেথ ওভারে বুমরার উইকেট না পাওয়া অন্যতম চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা ডেথ বোলার প্রথম স্পেলে উইকেট পেলেও ডেথ ওভারে উইকেট পাননি। ছবি: এএফপি।