কার আপারকাট বেশি দর্শনীয়? সচিন না কি রোহিতের?
১৬ বছর আগের সেঞ্চুরিয়ন ফিরল রবিবারের ম্যাঞ্চেস্টারে। সৌজন্যে রোহিত শর্মার একটা আপারকাট।
২০০৩ বিশ্বকাপে শোয়েব আখতারকে আপারকাট মেরে গ্যালারিতে ফেলেছিলেন সচিন রমেশ তেন্ডুলকর। সে দিন অফ স্টাম্পের বাইরে বলটা রেখেছিলেন ‘রাওয়াপিন্ডি এক্সপ্রেস’। সচিনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আপারকাট দেখে অবাক হয়ে গিয়ছিলেন শোয়েব। তাঁর মনোবল ভেঙে গিয়েছিল। কথিত আছে, ওই ওভারে সচিনকে আর বলই করতে চাননি পাক পেসার। সে বারের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অধিনায়ক ছিলেন ওয়াকার ইউনিস। তিনি এবং ওয়াসিম আক্রম গিয়ে শোয়েবকে বোঝান। অনেক বোঝানোর পরে বরফ গলে।
ওভার শেষ করেন শোয়েব। সচিনের উইকেট অবশ্য নিয়েছিলেন তিনিই। তত ক্ষণে অবশ্য অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। জয়ের গন্ধ পেয়ে গিয়েছে ভারতীয় সাজঘর। সেই ম্যাচে সচিনের মতো অবিকল একই আপারকাটে ওয়াকার ইউনিসকে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন বীরেন্দ্র সহবাগ। বীরুর আপারকাট নিয়ে অবশ্য সে ভাবে আলোচনা হয় না।
আরও পড়ুন: ম্যাঞ্চেস্টারের মার্কশিট, দেখে নিন কত পেলেন বিরাট-রোহিতরা
আরও পড়ুন: সরফরাজের ভুল সিদ্ধান্তেই ম্যাচ হেরেছে পাকিস্তান, বলছেন সচিন
ম্যাঞ্চেস্টারেও প্রায় একই ভঙ্গিতে হাসান আলিকে গ্যালারিতে ফেলেন রোহিত। সেই শটেও সচিনেরই ছায়া। হাসান আলির বলটা ছিল অফ স্টাম্পের একটু বাইরে। রোহিত পাক পেসারকে তুলে ফেলে দেন গ্যালারিতে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল সচিন ও রোহিতের আপারকাটের ভিডিয়ো পাশাপাশি পোস্ট করেছে। পোস্টে জানতে চাওয়া হয়েছে, কে ভাল মেরেছে এই শট? এই ভিডিয়ো দেখার পরে অনেকেই সচিনকে ভোট দিয়েছেন।
তাঁদের বক্তব্য একটাই। মাস্টারের উল্টো দিকে সে দিন বল করছিলেন শোয়েব। ঘণ্টায় ৯০ মাইল বেগে বলটা ধেয়ে এসেছিল সচিনের দিকে। রিঅ্যাকশন টাইম খুব কম পেয়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। রোহিতকে খাটো না করেও ভক্তরা লিখেছেন, শোয়েবের বল খেলতে ভয় লাগত ব্যাটসম্যানদের। বোলার হিসেবে শোয়েবের সঙ্গে তুলনা হয় না হাসান আলির।