বার্মিংহ্যামে বাংলাদেশকে হারিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল টিম ইন্ডিয়া। মঙ্গলবারের ম্যাচে ভারত জিতলেও শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গিয়েছে টাইগাররা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ঠিক কোন জায়গায় মাশরফিদের মাত দিলেন বিরাটরা? ভারতের জয়ের প্রধান কারণ কোনগুলি? বিশ্লেষণ করলাম আমরা।
বার্মিংহ্যামে টসে জিতে প্রথমেই অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিলেন বিরাট। এই ধরনের স্লো উইকেটে প্রথমে ব্যাট করার বড় সুযোগ পেয়ে তার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করেছে ভারত।
ম্যাচে ভারতকে অনেকটা এগিয়ে দেয় রোহিত-রাহুলের রেকর্ড ওপেনিং জুটি। দু’জনে মিলে প্রথম উইকেটেই ১৮০ রান তুলে দেওয়ায় চাপ অনেকটাই হালকা হয়ে যায় ভারতীয় মিডল অর্ডারের উপর।
৯ রানে রোহিতের সহজ ক্যাচ ফেলেন তামিম। প্রাণ ফিরে পাওয়া রোহিত আর দাঁড়াতেই দেননি বিপক্ষকে। ৯২ বলে ১০৪ রান করে তিনিই এ দিনের ম্যাচের সেরা।
৯২ বলে ৭৭ রান করে রোহিতের সঙ্গে ইনিংসের ভিত গড়ে দেন লোকেশ রাহুল। তাঁর ইনিংসে ঝড় না থাকলেও পরিণত এই ইনিংসই রোহিতকে নিজের খেলা খেলে যেতে সাহায্য করেছে। ফলে সহজেই বড় রান করতে পেরেছে ভারত।
বলতে হবে ঋষভের কথাও। চার নম্বরে নেমে ৪১ বলে ৪৮ রানের ইনিংসে ছিল ভবিষ্যতের তারকা হয়ে ওঠার ইঙ্গিত। তাঁর ইনিংস না থাকলে ভারত তিনশোর গণ্ডি পেরোয় না।
একই কথা প্রযোজ্য তামিম ইকবালের ক্ষেত্রেও। ভাল শুরু করেও ইনিংস টেনে নিয়ে যেতে পারলেন না তিনি। পিচের চরিত্র বুঝতে না পেরে শামির বলে বোল্ড হন তিনি।
রান তাড়া করার সময়ে শাকিব ছাড়া পরিণত ব্যাটিং করতে দেখা গেল না কাউকেই। এই রকম ম্যাচে অভিজ্ঞ মুশফিকুরের কাছ থেকে একটা বড় ইনিংস আশা করেছিল দল। কিন্তু চাহালের ফাঁদে পা দিয়ে দলকে ডোবালেন তিনি।
দুর্দান্ত খেললেন সইফুদ্দিন। কিন্তু তাঁকে সাহায্য করার কেউ ছিলেন না। অভিজ্ঞ মোর্তাজার কাছ থেকে আর একটু পরিণত ব্যাটিং আশা করেছিল বাংলাদেশ। তিনি সিঙ্গলস নিয়ে সইফুদ্দিনকে স্ট্রাইক দিলে ম্যাচের ফল অন্য রকম হতে পারত।
ভারতের জয়ে অন্যতম ভূমিকা নিলেন হার্দিক। আজ তাঁকে ১০ ওভার বল করতেই হত। এবং বড় রান তাড়া করার জন্য পঞ্চম বোলার হিসাবে তাকেই টার্গেট করেছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু তিনি ৩ উইকেট তুলে নিয়ে সেই সুযোগটাই দেননি। যার মধ্যে ছিল মহা গুরুত্বপূর্ণ শাকিবের উইকেট।
সব শেষে বলতেই হবে বুমরার কথা। উল্টো দিকে শামি যখন মার খাচ্ছেন, তখন পর পর দুই বলে টাইগারদের শেষ দুই উইকেট নিয়ে ভারতকে ম্যাচ জেতান তিনিই। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা সাব্বির রহমানও তাঁরই শিকার। তিনি যে কতটা নিখুঁত বোলার তার প্রমাণে একটা তথ্যই যথেষ্ট, তাঁর চার উইকেটের সবকটাই বোল্ড।