এত সম্পূর্ণ দল নিয়ে কখনও বিশ্বকাপে খেলতে আসেনি ভারত। যেমন ব্যাটিং, তেমন বোলিং, তেমনই ফিল্ডিং। পর পর দুটো ম্যাচে জিতে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ভারতীয় দল। চোটের জন্য দলে শিখর ধওয়ন নেই। কারা থাকছেন আজ কিউই বাহিনীকে হারাতে?
রোহিত শর্মা ভারতের নির্ভরযোগ্য ওপেনার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অপরাজিত ১২২ রান করে ২৩ তম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও করেছেন ৫৭ রান।
লোকেশ রাহুলের আজ রোহিতের সঙ্গে ওপেন করার কথা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভাল খেলেছিলেন। তবে ক্রিজে জমে যাওয়ার পরে মাঝেমাঝেই উইকেট ছুড়ে দিতে দেখা যায় তাঁকে। অজিদের বিরুদ্ধেও ৩ বলে ১১ রান করেন। ধওয়ন না থাকায় ওপেনিংয়ের গুরুদায়িত্ব তাঁকেই দেওয়া হতে পারে।
ক্রিকেটবিশ্বের নজরে এখন বিরাট কোহালি। ভারতীয় ব্যাটিংয়ের স্তম্ভ তিনি। ট্রেন্ট বোল্টদের বিরুদ্ধে কোহালির ব্যাটই ভরসা ‘টিম ইন্ডিয়া’র। নতুন মাইলফলকের সামনে কোহালি। আর ৫৭ রান করলে ওয়ান ডে-তে ১১ হাজার রান হয়ে যাবে। সচিন ১১ হাজার রান করেছিলেন ২৭৬ ইনিংসে। কোহালি এখনও পর্যন্ত খেলেছেন ২২২টি ইনিংস।
রাহুল ওপেন করলে বিজয় শঙ্করকে আজ চার নম্বরে খেলানো হতে পারে। একদিনের ম্যাচে তিনি ভারতের ভরসা হয়ে উঠতে পারেন। প্রথম একাদশে তিনি না দীনেশ কার্তিককে খেলানো নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট দ্বিধাবিভক্ত। তবে মেঘলা আবহাওয়ায় পেসার অলরাউন্ডার বিজয় শঙ্করকে খেলানোর সম্ভাবনা বেশি।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি মাঠে থাকলে ভারতের ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। সেরা ফিনিশার তিনি। দলের অধিনায়ক কোহালি হলেও উইকেটের পিছন থেকে তিনি দল পরিচালনা করেন। কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চহালদের মতো তরুণ বোলারদের জন্য ফিল্ডিং সাজিয়ে দেন ধোনি।
কেদার যাদব ব্যাটে ও বলে কার্যকরী ভূমিকা নেন। ব্যাটের হাত চমৎকার। বল হাতে পার্টনারশিপ ভাঙতে পারেন তিনি।
হার্দিক পাণ্ড্যর প্রশংসা সবার মুখে। ইংল্যান্ডের পরিবেশে পাণ্ড্যর সিম বোলিং কাজে লাগবে। ব্যাট হাতে যে কোনও মুহূর্তে ম্যাচের রং বদলে দিতে পারেন এই অলরাউন্ডার। পাওয়ার হিটার চার নম্বরে নেমে অস্ট্রেলীয় বোলারদের দুমড়ে দেন।
ভুবনেশ্বর কুমারের খেলার কথা আজ। গত ম্যাচেও জয়ের নায়ক তিনি। সুইং দিয়ে কিউই ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষা নিতে পারেন ভুবি।
যুজবেন্দ্র চহালের ঘূর্ণিতে ধরাশায়ী হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নেমেই ৪ উইকেট তুলে নেন তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচেও পেয়েছেন দুই উইকেট। বল হাতে কিউইদেরও পরীক্ষা নেবেন চহাল।
কুলদীপ যাদব আইপিএলে ফর্মে ছিলেন না। বিশ্বকাপে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন। রস টেলরদের বিরুদ্ধেও নজর থাকবে এই বাঁ হাতি চায়নাম্যান বোলারের দিকে।
যশপ্রীত বুমরার দৌরাত্ম্যে দক্ষিণ আফ্রিকা শুরুতেই ছন্দ হারিয়েছিল। তাঁর বিষাক্ত বোলিংয়ের মোকাবিলা করতে পারেননি প্রোটিয়া ওপেনাররা, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররাও। গত ম্যাচেও বুমরা তিনটি উইকেট পেয়েছেন।