হতাশ মর্গ্যান ফিরছেন প্যাভিলিয়নে। ছবি: এএফপি
বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পরপর দু’ ম্যাচ হেরে বিপাকে ইংল্যান্ড। মিচেল স্টার্ক ও জেসন বেহরেনডর্ফের বোলিংয়ের সামনে ভেঙে পড়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন আপ। ৬৪ রানে অজিদের কাছে হেরে সেমিফাইনালে যাওয়ার পথ আরও কঠিন হয়ে গেল ইয়ইন মর্গ্যানদের।
ইংল্যান্ডের হারের পরেই প্রাক্তন ক্রিকেটার কেভিন পিটারসেন কটাক্ষ করেন মর্গ্যানকে। পিটারসেনের বিতর্কিত মন্তব্য, ‘‘মর্গ্যান তো স্টার্ককে দেখে ভয় পাচ্ছিল।’’ পিটারসেনের বক্তব্য শুনে মর্গ্যানের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘আমি মোটেও স্টার্কের বল খেলতে গিয়ে ভয় পাইনি। তবে সবাই মত প্রকাশ করতে পারে। তা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ব্যাপার। বিশ্বকাপের শুরুতে আমাদের যে রকম আত্মবিশ্বাস ছিল এখন আর তা নেই। শেষ দু’টি ম্যাচ আমরা পার্টনারশিপের অভাবে হেরেছি। বিশ্বকাপে আমাদের ভাগ্য এখন আমাদের নিজেদের হাতে।শেষ দু’টি ম্যাচ জিতলেই আমরা সেমিফাইনালে পৌঁছে যাব।’’
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে ম্লান রাবাডা, দু’ প্লেসি দায়ী করলেন আইপিএল-কে
মর্গ্যান আউট হওয়ার পর বেন স্টোকস লড়াকু ৮৯ রানের ইনিংস খেললও, তা বিফলে যায়। স্টার্কের দুরন্ত ইয়র্কার স্টোকসের উইকেট ছিটকে দিলে ইংল্যান্ডের জয়ের আশা শেষ হয়ে যায়। আদিল রশিদ শেষ চেষ্টা করলেও ইংল্যান্ডের ইনিংস মাত্র ৪৪.৪ ওভারে ২২১ রানে গুটিয়ে যায়।
বিশ্বকাপের তিনটি ম্যাচেই রান তাড়া করতে গিয়ে হেরেছে ইংল্যান্ড। এরপরে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, তাঁদের চাপ সামলানোর মানসিকতা নিয়ে। দিনের শুরুতে অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের শতরানের সৌজন্যে ৫০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ২৮৫ রান করে অস্ট্রেলিয়া।
ইংল্যান্ড ব্যাট করতে নামলে স্টার্কের গতি ও বেহরেনডর্ফের সুইং সামলাতে পারেননি ইংরেজ ব্যাটসম্যানরা। ম্যাচ হারায় ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা এখন প্রবল সমালোচনার মুখে। পরের ম্যাচগুলোয় আরও বড় পরীক্ষা ইংল্যান্ডের সামনে। তবে তাদের জন্য সুখবর ওপেনার জেসন রয় পেশির চোট সারিয়ে প্র্যাকটিসে ফিরেছেন।