কেন উইলিয়ামসনের উইকেট নিয়ে উচ্ছাস স্টার্কের।—ছবি রয়টার্স।
চলতি বিশ্বকাপে দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে মহম্মদ শামি হ্যাটট্রিক করার পরে এ দিন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তা করে দেখালেন নিউজ়িল্যান্ড পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। শেষ ওভারে উসমান খোয়াজা, মিচেল স্টার্ক ও জেসন বেহরেনডর্ফকে টানা তিন বলে ফিরিয়ে এই কীর্তি গড়েন তিনি। নিউজ়িল্যান্ড পেসার হিসেবে বিশ্বকাপে তাঁরই প্রথম হ্যাটট্রিক। বিশ্বকাপের হ্যাটট্রিক তালিকায় তিনি একাদশ স্থানে। তবুও জিততে পারল না নিউজ়িল্যান্ড। তারা হারে ৮৬ রানে।
শনিবার লর্ডসে টস জিতে ব্যাটিং নেয় অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু শুরু থেকেই বোল্টের সুইং উইকেটে থিতু হতে দেয়নি অস্ট্রেলীয় ওপেনারদের। ৫১ রান দিয়ে হ্যাটট্রিক-সহ চার উইকেট নেন বোল্ট।
অস্ট্রেলিয়াও কঠিন পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ায়। শনিবার লর্ডসে নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৯২ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে যখন বিধ্বস্ত অস্ট্রেলীয় ব্যাটিং লাইন-আপ। ঠিক তখনই ১০৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে দলকে ম্যাচে ফেরালেন উসমান খোয়াজা ও অ্যালেক্স ক্যারি। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং দেখে এক সময়ে ধারাভাষ্যকার মাইকেল ক্লার্ক ভেবেছিলেন, ২০০ রানের গণ্ডিও পেরোতে পারবে না তাঁর দল।
কিন্তু খোয়াজা ও ক্যারির ইনিংস ব্যাটিং বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচায় অস্ট্রেলিয়াকে। ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে অ্যারন ফিঞ্চের দলের রান ২৪৩। ১২৯ বলে ৮৮ রান করেন খোয়াজা। বোলিংয়েও দুরন্ত অস্ট্রেলিয়া। ৯.৪ ওভারে একটি মেডেন ওভার পাঁচ উইকেট স্টার্কের। ৯ ওভারে ৩১ রান দিয়ে দুই শিকার বেহরেনডর্ফের। নিউজ়িল্যান্ড অলআউট ১৫৭ রানে।
এই হারের ফলে আট ম্যাচে কিউয়িদের পয়েন্ট ১১। শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। রবিবার ভারতকে ইংল্যান্ড হারালে নিউজ়িল্যান্ডের চাপ বাড়বে। ফলে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কার্যত কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে হবে কেন উইলিয়ামসনের দলকে।
এ দিন দু’দলের ফিল্ডিংও নজর কাড়ে। মার্টিন গাপ্টিল, জিমি নিশাম ও স্টিভ স্মিথ দুরন্ত ক্যাচ নেন।