নজরে: নিউজ়িল্যান্ডের নেটে লকি ফার্গুসনের প্রস্তুতি। রয়টার্স
বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে এই দুই দেশের লড়াই বৃষ্টির জন্য ভেস্তে গিয়েছিল। তার আগে অবশ্য প্রস্তুতি ম্যাচে নিউজ়িল্যান্ডের কাছে হারতে হয়েছিল ভারতকে। সেই ম্যাচে বিধ্বংসী হয়ে উঠেছিলেন নিউজ়িল্যান্ডের বাঁ হাতি পেসার ট্রেন্ট বোল্ট।
এ বার, মঙ্গলবার বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ফের মুখোমুখি হচ্ছে ভারত এবং নিউজ়িল্যান্ড। যে লড়াইয়ে কেন উইলিয়ামসনের দলের অস্ত্র হতে চলেছে তাদের পেস আক্রমণ। সেখানে শুধু বোল্টই নন, থাকবেন লকি ফার্গুসনও।
এই বিশ্বকাপের অন্যতম দ্রুতগতির বোলার হলেন লকি। নিয়মিত ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার গতিতে বল করছেন। কিন্তু চোট পাওয়ায় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে তিনি খেলতে পারেননি। নিউজ়িল্যান্ড শিবির আশাবাদী, ভারতের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে মাঠে নামতে পারবেন লকি। রবিবার ম্যাঞ্চেস্টারে নিউজ়িল্যান্ডের প্র্যাক্টিসে দেখা গেল লকিকে। পুরো রান আপে বোলিংও করলেন তিনি।
পরে লকি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘জানি আমরা আন্ডারডগ। কিন্তু তাতে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। আন্ডারডগ হিসেবে খেলতে তৈরি আমরা।’’ ইংল্যান্ড ম্যাচ খেলতে না পারলেও লকি কিন্তু ১৭ উইকেট নিয়ে উইকেটশিকারিদের তালিকায় তিন নম্বরে আছেন। তিনি নিশ্চিত, ভারতের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে কোনও সমস্যা হবে না তাঁর। লকি বলেছেন, ‘‘ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে পায়ে একটা অস্বস্তি হচ্ছিল। এর পরে পায়ের স্ক্যানও হয়। যার রিপোর্টও পেয়ে গিয়েছি। সমস্যার কিছু নেই।’’
কয়েক দিন আগে নিউজ়িল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক ড্যানিয়েল ভেত্তোরি বলেছিলেন, ‘‘লকিকে অবশ্যই নিউজ়িল্যান্ড দলে দরকার। ওর গতি বিপক্ষকে সমস্যায় ফেলবে।’’ নিউজ়িল্যান্ড কোচ গ্যারি স্টিড বলেছেন, ‘‘আমরা নিশ্চিত, লকিকে সেমিফাইনালে দলে পাব। ইংল্যান্ড ম্যাচটা যদি সেমিফাইনাল বা ফাইনাল হত, তা হলে আমরা নিশ্চিত ভাবে লকিকে খেলিয়ে দিতাম। সতর্কতামূলক সিদ্ধান্ত হিসেবেই লকিকে দলের বাইরে রাখা হয়।’’
লকির আরও প্রশংসা শোনা গিয়েছে তাঁর কোচের মুখে। তিনি বলেন, ‘‘লকি আমাদের দলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ও যখনই বল করতে এসেছে, মনে হয়েছে উইকেট পাবে। এটা ওর প্রথম বিশ্বকাপ ঠিকই, কিন্তু অভিজ্ঞতার অভাব বোধ হয়নি। প্রতি ম্যাচেই ফারাক গড়ে দিয়েছে।’’
বিশ্বকাপে আসার আগে আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলার সময় সে রকম ভাল ফর্মে ছিলেন না লকি। এর পরে বিশ্বকাপ খেলতে আসার আগে অকল্যান্ডের বোলিং কোচ আন্দ্রে অ্যাডামসের সঙ্গে বেশ কিছুটা সময় কাটান লকি। অ্যাডামস তাঁকে বলেন, ‘‘মাথায় রেখো, হয়তো এটাই তোমার শেষ বিশ্বকাপ। নিজেকে সব সময় উপভোগ করার চেষ্টা করে যেও।’’