প্রত্যয়ী: নিজের ফর্ম নিেয় খুশি হ্যারিস সোহেল। এএফপি
বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে ব্রিস্টলে আফগানিস্তানের কাছে হারতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। তখন আশা করা গিয়েছিল, এ বারের কাপ-যুদ্ধে চমক হতে পারে আফগানরা।
গত এক মাসে আমূল বদলে গিয়েছে চিত্রটা। দশ দলের বিশ্বকাপে সাতটি ম্যাচের প্রতিটিতেই হেরে দশম স্থানে রয়েছে আফগানিস্তান। অন্য দিকে, ভারতের কাছে হারের পরে যে পাকিস্তান দল মানসিক ভাবে চূর্ণ হয়ে গিয়েছিল, তারাই আবার পরপর দুই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজ়িল্যান্ডকে হারিয়েছে। বাঁচিয়ে রেখেছে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পাকিস্তানের খেলার স্বপ্ন। সাত ম্যাচে পাক দলের পয়েন্ট সাত। লিগ তালিকায় সরফরাজ় আহমেদের দল রয়েছে ছয় নম্বরে। শেষ দুই ম্যাচে আফগানিস্তান ও বাংলাদেশকে হারালেই সেমিফাইনালে চলে যাবে পাকিস্তান।
এই পরিস্থিতিতে শনিবার লিডসে মিকি আর্থারের দল খেলতে নামছে আফগানদের বিরুদ্ধে। তবে সেই ম্যাচে নিজেদের উপরে চাপ তৈরি করতে নারাজ হ্যারিস সোহেল। তিনি বলছেন, ‘‘ম্যাচ প্রতি পরিকল্পনা করে এগোতে চাইছি আমরা। এই মুহূর্তে বাড়তি কিছু ভাবতে চাই না। আফগানিস্তান ম্যাচের জন্যই মনোনিবেশ করছে গোটা দল। আপাতত আফগানদের স্পিনের ফাঁদে পা দেওয়া চলবে না।’’
ভারত ম্যাচে শোয়েব মালিক ব্যর্থ হওয়ার পরেই তাঁকে বসিয়ে পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্ট খেলাতে শুরু করে হ্যারিস সোহেলকে। আফগানিস্তান ম্যাচের আগে সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে আত্মবিশ্বাসী সোহেল বলে দেন, ‘‘ফর্মের জন্য কখনও দলের বাইরে ছিলাম না। চোটের কারণেই কয়েকটা ম্যাচ খেলা হয়নি। চোট সারতেই দলে ফিরতে পেরেছি। সাময়িক বিপর্যয় কেটেছে। এ বার পাকিস্তানকে গর্বিত করার জন্য এগিয়ে যেতে হবে আমাদের।’’
পাক দলে হ্যারিস ছাড়াও মাঝের সারিতে ছন্দে রয়েছেন মহম্মদ হাফিজ় ও বাবর আজ়মও। হাফিজ় স্পিনার হিসেবে দলের হয়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করছেন। টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে খবর, নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে যে দল খেলেছিল, সেই দলই থাকছে।
বিশ্বকাপে চমক দেখানোর স্বপ্ন শেষ হয়ে গেলেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচকে সম্মানরক্ষার ম্যাচ হিসেবেই দেখছে আফগানিস্তান। কোচ ফিল সিমন্স বলছেন, ‘‘বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়েছিল দল। ওদের নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। নিজেদের পরিকল্পনামাফিক খেলতে পারলে এ বারও ওদের হারাতে পারি আমরা।’’
ইংল্যান্ডে এ বার গ্রীষ্মের দ্বিতীয় ভাগ শুরু হয়েছে। ফলে শুকনো খটখটে পিচ পাচ্ছে দলগুলো। এই পরিবেশে প্রথম পাঁচ ম্যাচে আফগান স্পিনাররা আট উইকেট পেলেও, পরের দুই ম্যাচে রশিদ খানেরা পেয়েছেন নয় উইকেট। রশিদদের স্পিন-ফাঁদে ফের আটকে যাবেন কি বাবররা, সেটাই দেখার।