উৎসাহ: বৃহস্পতিবার বার্মিংহামে ম্যাচের আগে ওয়ার্নারের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন প্রাক্তন অধিনায়ক স্টিভ ওয়। রয়টার্স
ঐতিহাসিক ট্রাফালগার স্কোয়্যারে ‘ক্রিইয়ো কাপ’ প্রতিযোগিতায় বিশেষ অতিথি হিসেবে এসেছিলেন তিনি। আপাতত লন্ডনে রয়েছেন আইসিসি-র বিশ্বকাপ দূত হয়ে। ক্রিইয়ো কাপ হচ্ছে ক্রিকেটের মাধ্যমে আইসিসি-র সামাজিক বন্ধন তৈরি করার প্রয়াস। যেখানে নেমারের ব্রাজিল বা মেসির আর্জেন্টিনা বা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পর্তুগালের মানুষদেরও প্রীতি ক্রিকেটে অংশ নিতে দেখা যায়। এ দিনই যেমন জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখা গেল ব্রাজিল বনাম ভারত। যা এমনিতে দেখতে পাওয়ার সুযোগই নেই। সেই ক্রিকেট উৎসাহীদের ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়েই ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী সব দেশ থেকে বাছাই করা কয়েক জন সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বললেন স্টিভ ওয়। যাঁর ট্রফি ক্যাবিনেটে দু’টো বিশ্বকাপ আছে। সাতাশিতে ইডেনে অ্যালান বর্ডারের দলের তরুণ মুখ ছিলেন। নিরানব্বইতে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। তুলে দেওয়া হল সেই কথোপকথনের অংশ—
নতুন বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন আসছে রবিবার, তাঁর প্রতিক্রিয়া: খুব বাজে। অস্ট্রেলিয়া আগে জিতেছে, ওদেরই আবার জেতা উচিত ছিল (হাসি)। তবে এটা খুবই ভাল ব্যাপার। আমার মনে হয় নিউজ়িল্যান্ড, যারা রাগবিতে খুব ভাল, তারা যদি জিততে পারে। খেলাধুলোর দুনিয়ায় অন্যতম সেরা দল ‘অল ব্ল্যাকস’। ফাইনালে পৌঁছনোর পরে যদি ওরা শেষ হার্ডলটাও পেরোতে পারে, দারুণ ব্যাপার হবে। ইংল্যান্ড তিনটে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছে। গোটা দেশ বিশ্বকাপের আবেগে ভাসছে। যারাই জিতবে, তাদের দেশের জন্য দারুণ এক মুহূর্ত উপহার দিতে পারবে। আমি জানি, বিশ্বকাপ জেতার অনুভূতি কী। সবাই কাপ ছুঁয়ে দেখতে চায়, অসাধারণ এক অনুভূতি। দেশের প্রত্যেকটা মানুষ ভাবে, আমি এই কাপ জিতেছি। দুর্দান্ত এক উৎসব।
কাদের উপরে পয়সা লাগাবেন: আমি ক্রিকেটের উপর বেটিং করি না।
অস্ট্রেলিয়ার বিদায়ে অবাক কি না: এটাই ক্রিকেট। একটা দল জিতবে, অন্যটা হারবে। ইংল্যান্ড দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলেছে। তবে অস্বীকার করব না, প্রথম সেমিফাইনালের ফল দেখে আমি অবাক হয়েছি। দ্বিতীয় সেমিফাইনালের ব্যাপারে বলব, জয়-পরাজয়ের বিরাট ব্যবধানটা আমাকে অবাক করেছে। কিন্তু সেটাই তো ক্রিকেট। কী ঘটবে, কেউ জানে না!
বিশ্বকাপে বড় স্কোর সে ভাবে দেখা গেল না কেন: মাঠ যখন ছোট ছিল আর পিচ ব্যাটিং-সহায়ক ছিল, তখন কিন্তু বড় রান হয়েছে। আমি কিন্তু ২৫০ বনাম ২৫০ ধরনের ওয়ান ডে ম্যাচ দেখতে বেশি ভালবাসি। তার কারণ, এই ম্যাচগুলোতে বোলারদের স্কিলটাও দেখা যায়। ব্যাটসম্যানদের উপর পাল্টা চাপ তৈরি হয়। কিন্তু সেটা একান্তই আমার পছন্দ। হয়তো বেশি লোকে ৪০০ রানের খেলা দেখতে পছন্দ করে।
লর্ডসের পিচ নিয়ে ভাবনা: আমার মনে হয়, সহজ ব্যাটিং উইকেট হবে। রবিবার হয়তো ৩৫০ প্লাস স্কোর দেখতে পাব আমরা।
বিশ্বকাপ দশ দলের হওয়া নিয়ে: আমার মনে হয় আফগানিস্তান দারুণ এক সাফল্যের কাহিনি। ওরা কিন্তু অন্যান্য দেশকে উদ্বুদ্ধ করছে ক্রিকেটে উঠে আসার জন্য। ওরা দুর্দান্ত। আমার মতে, অন্যান্য দেশকেও যুক্ত করতে হবে। ক্রিকেটের বিশ্বায়ন ঘটাতেই হবে। ক্রিকেটকে যদি অন্যান্য বড় খেলার সঙ্গে পাল্লা দিতে হয়, তা হলে বিশ্বায়ন দরকার। হয়তো কিছু দেশকে স্ট্রিট ক্রিকেট খেলিয়ে উৎসাহিত করা যেতে পারে। অভিজ্ঞ লোকদের সেই সব দেশে পাঠিয়ে কাজ শুরু করা যায়। অনেক দেশেই প্রতিভা আছে কিন্তু ক্রিকেটের পরিকাঠামো নেই।
অস্ট্রেলিয়ার প্রস্তুতি নিয়ে: আমার মনে হয়, ওরা অন্য রকম পিচ হবে ধরে নিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছিল। আসলে পিচ নিয়ে অত ভেবে বিশ্বকাপে খেলতে আসা যায় না। সব রকম পরিবেশ, পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে হবে। বিশ্বকাপ জিততে গেলে সেই স্কিলটুকু থাকতেই হবে। কেউ যদি বলে, এক রকম পিচ হবে ভেবে এখানে খেলতে এসেছিলাম আর এসে দেখলাম অন্য রকম, তা হলে আমি বলব, অজুহাত দিচ্ছে। তুমি তো পেশাদার ক্রিকেটার, তাই না? তা হলে সব রকম পরিস্থিতি, পিচের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে না কেন? তোমরা বিশ্বের সব জায়গায় খেলে বেড়াচ্ছ সারা বছর। কোন পিচ আর কোন পরিবেশ তোমাদের জানতে বাকি থাকছে? তোমরা ভাল প্লেয়ার। তা হলে পারবে না কেন?
সহমর্মী: ধোনির দক্ষতায় এখনও আস্থা রয়েছে স্টিভের। ফাইল চিত্র
প্রথম সেমিফাইনাল কি অঘটন এবং বিরাট কোহালির ক্যাপ্টেন্সিতে কোনও ভুল ছিল কি না: আমার মনে হয়, আমার চেয়ে ভারতীয়দের কাছে এই ফল বেশি অপ্রত্যাশিত ছিল। বিরাটের ক্যাপ্টেন্সিতে কোনও ট্যাকটিকাল ভুল ছিল কি না? আমি মনে করি না। নিউজ়িল্যান্ড খুবই ভাল ক্রিকেট খেলেছে। জিমি নিশামের দুর্দান্ত ক্যাচ আর মার্টিন গাপ্টিলের অবিশ্বাস্য সরাসরি থ্রো দেখিয়ে দিল, বিশ্বকাপে অসাধারণ ফিল্ডিং উৎকর্ষও ম্যাচ জেতাতে পারে। আর এক জনের কথা বলব। রস টেলর। নিউজ়িল্যান্ডের এই জয়ে উইলিয়ামসন এবং টেলরের অনেক কৃতিত্ব প্রাপ্য। মন্থর ব্যাটিংয়ের জন্য ওদের অনেক সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছে কিন্তু পরিবেশ, পরিস্থিতিটা যে ওরাই সব চেয়ে ভাল ধরতে পেরেছিল, তা তো দেখাই গেল। শুনুন, বিশ্বকাপ জিততে গেলে ‘স্ট্রিটস্মার্ট’ হতে হবে। উইলিয়ামসন আর টেলর সে দিন সেটাই করেছে। ইচ্ছা করলেই ওরা অস্ট্রেলিয়া বা ভারতের মতো চালাতে যেতে পারত। আর তা হলেই ধুড়ধাড় করে উইকেট পড়ে যেত। নিউজ়িল্যান্ড একটা রণনীতি নিয়ে খেলতে নেমেছিল। পরিকল্পনা করে এসেছিল। কোহালির খুঁত ধরার চেয়েও আমি তাই বেশি কৃতিত্ব দেব নিউজ়িল্যান্ডকে। কোহালির ক্যাপ্টেন্সি পরাজয়ের চেয়েও বেশি করে এটা নিউজ়িল্যান্ডের জয়। এ ভাবেই দেখতে চাই আমি।
দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়ে হতাশ কি না: এটা স্বীকার করতেই হবে যে, দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়ে আমি একই সঙ্গে হতাশ এবং অবাক। আবারও ওরা এসেছিল বিশ্বকাপ জেতার লক্ষ্য নিয়ে এবং সেই খালি হাতেই ফিরতে হল। আমার কিন্তু মনে হয়েছিল, এ বারে দক্ষিণ আফ্রিকা ভাল করবে কারণ, ওদের ঘিরে প্রত্যাশা কিছুটা কম ছিল। প্রত্যেক বারই অন্যতম ফেভারিট হিসেবে ওরা খেলতে এসেছে। সব চেয়ে হতাশ নিশ্চয়ই ওরাই হয়েছে। ফল যা দেখাচ্ছে, তার চেয়ে ভাল দল ওরা। খুবই কঠিন প্রতিপক্ষ যে হয়ে উঠতে পারে, সেটা আমরা অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই দেখেছি। বিশ্বকাপের যে কোনও দলকে হারানোর দক্ষতা দক্ষিণ আফ্রিকার ছিল। তাই এই ফলে ওরা হতাশ হবে।
আটত্রিশের ধোনিকে নিয়ে সমালোচনা এবং তাঁর মতামত: শুনুন, ওয়ান ডে ক্রিকেটে এক জন জিনিয়াস ধোনি। সেমিফাইনালেও রান আউটটা হওয়ার আগে পর্যন্ত আমাদের অনেকেরই মনে হচ্ছিল, ও ম্যাচ বার করে নিতে পারে। একটা কথা মনে রাখতে হবে। ধোনি যদি দুর্ধর্ষ ম্যাচউইনার না হত, ওকে নিয়ে এত কথা হতই না। কত অসংখ্য বার ও ম্যাচউইনারের কাজ করে দিয়েছে! কত বার অবিশ্বাস্য সব জায়গা থেকে ও ভারতকে জিতিয়ে দিয়েছে! ধোনিকে নিয়ে এত কথা হচ্ছে, কারণ ও এখনও খেলে চলেছে। হয়তো বেশি লম্বাই খেলে চলেছে ও। কিন্তু এটাও ঠিক, যত ক্ষণ ও ক্রিজে থাকে, ভারতের আশাও বেঁচে থাকে। ধোনির ক্রিকেট দক্ষতায় এখনও আস্থা রাখি।
এই ইংল্যান্ড কেন অতীতের দলগুলি থেকে আলাদা: প্রথম কারণ, এই ইংল্যান্ড দলটা ভয়ডরহীন ভাবে খেলে। পেশাদার খেলায় এই জিনিসটা করা খুব কঠিন। এই দলটার কোনও দুর্বলতা নেই। খুব ভাল ফিল্ডিং দল। ব্যাটিংয়ে দারুণ গভীরতা। এবং, বোলিংয়ে নানা রকম বিকল্প হাতে রয়েছে। প্রায় সম্পূর্ণ একটা দল। আমার দেখা সেরা ওয়ান ডে টিমগুলোর একটা এই ইংল্যান্ড। অবশ্যই ওদের চূড়ান্ত যোগ্যতা নির্ধারণ হবে রবিবারের ফাইনাল দেখার পরে। যদি ওরা ফাইনালটা জিততে পারে, তা হলে বলব, ইংল্যান্ডের সর্বকালের অন্যতম সেরা ওয়ান ডে টিম আখ্যা পাবে। আর যদি ওরা হেরে যায়, তা হলে বলা হবে, ইংল্যান্ড সেই টিমগুলোর একটা যারা চেষ্টা করেছিল জেতার, কিন্তু পারেনি।
বিশ্বকাপের মান নিয়ে খুশি নাকি ১০০ বলের ক্রিকেট প্রতিযোগিতাই ভবিষ্যৎ: (হাসি) জানি না। একশো বলের ক্রিকেট নিয়ে খুব বেশি তথ্য আমার কাছে নেই। এর পর হয়তো স্ট্রিট ক্রিকেট আসবে। লোকে যা দেখে উপভোগ করবে, সেটাই আমার কাছে ঠিক আছে। তবে আমার ব্যক্তিগত মত যদি চান, টেস্ট ক্রিকেটই সব সময় সেরা ফর্ম্যাট থাকবে। খেলোয়াড়দেরও অর্থনৈতিক সুরক্ষা দরকার। নিজের, পরিবারের বা পরবর্তী কালে যদি ব্যবসা করে জীবিকা চালাতে হয়, সেই নিরাপত্তা দরকার। যত ক্ষণ না টেস্ট ক্রিকেটকে উপেক্ষার স্তরে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, সব ধরনের ফর্ম্যাট নিয়ে চলতে আমার কোনও আপত্তি নেই। তবে কোনও কিছুই যেন টেস্ট ক্রিকেটকে বিসর্জন দেওয়ার বিনিময়ে না আসে।
টেস্টের বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ: অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। অন্তত দশ বছর আগে। এখনও হয়ে ওঠেনি। এ বারে হবে শুনছি। টেস্টের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ অবশ্যই দরকার।
রবিবার ইংল্যান্ডের ম্যাচউইনার কে হতে পারেন: কোনও এক জন নয়, এগারো জনের সকলেই গুরুত্বপূর্ণ হবে। এই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের কয়েক জন দারুণ খেলছে ঠিকই। জেসন রয় দুরন্ত। জোফ্রা আর্চার ওদের এক্স-ফ্যাক্টর। আমি আশা করছি, বেন স্টোকস দারুণ কিছু করবে ফাইনালে। তবু আমি বলব, ইংল্যান্ডের হাতে ১১ জন সম্ভাব্য ম্যাচউইনার আছে।
বিশ্বকাপের সেরা মুহূর্ত: এ বারের বিশ্বকাপ আমি খুব বেশি দেখতে পারিনি। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সময়ের তফাতের জন্য। কোনও একটা মুহূর্তকে বেছে নেওয়া কঠিন। বেন স্টোকসের ক্যাচটা অবিশ্বাস্য ছিল। আমার মনে হয়, ওর ক্যাচটা দুর্দান্ত একটা বিশ্বকাপের মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছিল। শেল্ডন কটরেলের ক্যাচটার কথাও বলতে হবে। এবং, অবশ্যই সেমিফাইনালে মার্টিন গাপ্টিলের রান আউট (ধোনিকে যা ফিরিয়ে দেয়)। এগুলো প্রত্যেকটাই খুব মনে রাখার মতো মুহূর্ত হয়ে থাকছে। কিন্তু আমি চাই, সেরা মুহূর্তটা আসুক রবিবার। লর্ডসে ২০১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে।
সেমিফাইনালের জায়গায় আইপিএলের মতো প্লে-অফ: ভারতের ক্রিকেট মহল থেকে থেকে এ রকম একটা প্রস্তাব সম্ভবত আসছে। হয়তো সেমিফাইনালটা হারার পরে এ রকম মনে হচ্ছে। কিন্তু আমি বলব না এবং না। কিছুতেই না। তুমি তো মাঠে নেমেইছ সব নিয়ম জেনে। সেমিফাইনাল খেলতে নামার আগেই তো জানতে হেরে গেলে সে দিনই বিদায় নিতে হবে। তাই ঠিকই আছে। পরাজয়কে মেনে নিতেই হবে। আমার মনে হয়, এই ফর্ম্যাটটা বেশ ভাল। বিশ্বকাপে প্রধান ব্যাপার হচ্ছে, চাপের মুখে কেমন খেলতে পারলাম। আমার মতে, সেটা ঠিকই আছে। তা ছাড়া আরও একটা ম্যাচ যদি সেমিফাইনাল পর্বে রাখতে হয়, তা হলে সূচিটাও আরও লম্বা হয়ে যাবে।
হার্শেল গিবসের সেই ক্যাচ ফেলে এবং বিশ্বকাপ ফেলে দেওয়ার উক্তি: (হাসি) কুড়ি বছর হয়ে গেল, এ বার তো ছাড়ুন। হার্শেল গিবসকে একটু বিশ্রাম দিন। বেচারা সেই কবে থেকে এই একটা ক্যাচ ফেলা নিয়ে কথা শুনে আসছে। হার্শেল দুর্দান্ত এক জন ক্রিকেটার। একটা ভুল করে ফেলেছে। তার জন্য অনেক কথাও শুনেছে। আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, ওই ম্যাচটা কিন্তু আমরা জিতিনি। টাই হয়েছিল। আমরা অনেক ভুল করেও হার এড়াতে পেরেছিলাম। একটা ফেলে দেওয়া ক্যাচের জন্য ম্যাচ টাই হলেও যে এত কথা হয়, সে দিনের সেই ম্যাচটা দেখিয়ে দিয়ে গিয়েছিল।
সেটাই কি সর্বকালের সেরা ম্যাচ: সর্বকালের সেরা না হলেও অন্যতম সেরা তো বটেই। আমার মনে হয়, সে দিন দু’টো দলই খুব উন্নত, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেট উপহার দিতে পেরেছিল। সেই কারণেই এত বছর পরে লোকেও ওই ম্যাচটাকে মনে রেখেছে।