নিজের উইকেট বাঁচাতে বেন স্টোকসের ঝাঁপ, ছবি: এএফপি
লর্ডসের ফাইনাল শেষ। ক্রিকেটবিশ্ব পেয়েছে নতুন চ্যাম্পিয়ন। রুদ্ধশ্বাস ফাইনালের শেষেও ছ’ রান নিয়ে বিতর্ক আর কাটছে না।
মার্টিন গাপ্তিলের ছোড়া বল বেন স্টোকসের ব্যাটে লেগে বাউন্ডারির সীমানা অতিক্রম করে। আম্পায়ার ধর্মসেনা ছ’ রান দেন ইংল্যান্ডকে।
অনেকেই বলছেন, ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী, ছ’ রান নয়, পাঁচ রান দেওয়া উচিত ছিল ইংল্যান্ডকে। ছ’ রানের জায়গায় পাঁচ রান পেলে ইংল্যান্ডের পক্ষে ম্যাচ কি সুপার ওভারে টেনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হত? আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের জন্য নিউজিল্যান্ড কি বিশ্বকাপ মাঠে ফেলে এল? রবিবাসরীয় ফাইনালের পরে এসব প্রশ্নই ঘুরছে ক্রিকেটমহলে।
ইংল্যান্ডকে ছ’ রান দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এক সময়ের বিখ্যাত আম্পায়ার সাইমন টফেল। পাঁচ বার সেরা আম্পায়ারের খেতাব জেতা এই অস্ট্রেলীয় আম্পায়ারের মতে, ‘‘ছ’ রান নয়, পাঁচ রান পাওয়া উচিত ছিল ইংল্যান্ডের। আমি অন্যের দোষ নিয়ে কথা বলতে আগ্রহী নয়। তবে আশা করি এমন ভুল যেন আর না হয়।’’ কেন এমন কথা বললেন টফেল? এ ক্ষেত্রে নিয়মটা কী? ফিল্ডারের ওভার থ্রো থেকে বাউন্ডারি হলে সেই বাউন্ডারির সঙ্গে ব্যাটসম্যানরা একসঙ্গে যত রান নিয়েছেন, সেটাও যোগ হবে, যদি ফিল্ডারের থ্রোয়ের সময়ে ব্যাটসম্যানরা একে অপরকে ক্রস করে যান।
গাপ্তিলের ছোড়া বল ম্যাচের সেরা স্টোকসের ব্যাটে লেগে বাউন্ডারি হয়ে যাওয়ার পরে দেখা যায়, হাঁটু মুড়ে বসে স্টোকস ক্ষমা চাইছেন। পরে স্টোকস বলেন, সারাজীবন আমি কেনের কাছে এর জন্য ক্ষমা চাইব। ধারাভাষ্যকার স্কট স্টাইরিস বলছিলেন, স্টোকস রান নেওয়ার সময়ে তাঁর গতিপথ পরিবর্তন করে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কেনের আউটের আবেদন করা উচিত ছিল। তা হলে হয়তো স্টোকসকে আউট দেওয়া হলেও হতে পারত।
ছয় রান না পাঁচ রান— এই বিতর্ক চিরকালই হয়তো চলতে থাকবে। রবিবারের ফাইনাল কিন্তু আরও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। একশো ওভারের শেষে ম্যাচ টাই থাকে। সুপার ওভারেও ম্যাচের নিষ্পত্তি হয়নি। নিউজিল্যান্ডের থেকে বেশি বাউন্ডারি মারার সুবাদে কাপ যায় ইংল্যান্ডের হাতে। এ ভাবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়া মেনে নিতে পারেননি ব্রেট লি, গৌতম গম্ভীরের মতো প্রাক্তনরা।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ জুড়ে হতশ্রী আম্পায়ারিং, ফাইনালেও বদলাল না ছবি
আরও পড়ুন: বিরাট-রোহিত ‘খটাখটি’ নিয়ে খোঁজ নিচ্ছে বোর্ড, জোড়া ক্যাপ্টেন নিয়েও ভাবনাচিন্তা