বিশ্বক্রিকেটের মহাযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। আজ বাংলাদেশ মুখোমুখি হতে চলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ কয়েকটি ম্যাচ ভাল খেলে রীতিমতো ফুটছে বাংলাদেশ।
কিন্তু ওভালে আজ, রবিবার সেই ম্যাচের আগে স্বস্তিতে থাকতে পারছে না বাংলাদেশ। কারণ দলে প্রচুর চোট-আঘাত রয়েছে।
তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে এমন নয়। কারণ শেষ চারটি একদিনের ম্যাচে চমৎকার পারফরম্যান্স করেছে তারা।
ত্রিদেশীয় সিরিজে শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৫ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ তার আগের ম্যাচে ৬ উইকেটে আয়ারল্যান্ডকে পরাজিত করে, তাও ৪২ বল বাকি থাকতেই।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তারও আগের ম্যাচে ৫ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ, তাও ১৬ বল বাকি থাকতেই।
তার আগের ম্যাচেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩০ বল বাকি থাকতেই ৮ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
এতগুলো ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ টগবগ করে ফুটলেও আসল পরীক্ষা এ বার। প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। এ ছাড়াও ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডের সঙ্গেও পর পর ম্যাচ রয়েছে ‘বাংলার বাঘ’দের।
বিগ ম্যাচের আগে বাংলাদেশের প্রধান ব্যাটিং ভরসা তামিম ইকবালকে নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি। অনুশীলনের সময় বাঁ হাতের কব্জিতে আঘাত পান বাংলাদেশের ওপেনার।
শনিবার তামিম নেটে দীর্ঘ ক্ষণ ব্যাট করলেও, তাঁকে একেবারেই স্বস্তিতে দেখায়নি।
এ দিকে মাহমুদুল্লার শরীরেও একাধিক চোট রয়েছে। দলের ক্যাপ্টেনের ক্ষেত্রেও সমস্যা রয়েছে। মাশরফিও চোট পেয়েছেন।
চোট রয়েছে মুস্তাফিজুর রহমানেরও। অলরাউন্ডার সইফুদ্দিনকেও ব্যথা কমানোর ওষুধ খেয়ে নামতে হতে পারে বলে জানিয়েছে বোর্ড সূত্র।
তবে টপ অর্ডারের ক্রিকেটাররা বড় স্কোর গড়তে পারলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বেগ দিতেই পারে বাংলাদেশ। ওভালে ইংল্যান্ডের কাছে ১০৪ রানে হারার পরে সেই মাঠেই এ বার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নামছেন ডুপ্লেসিরা।
শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে মরিয়া দক্ষিণ আফ্রিকাও। হাসিম আমলার চোট রয়েছে। ফলে বদল হতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকার দলেও।
মিলার আসতে পারেন দলে। এ ছাড়াও ডোয়েন প্রিটোরিয়াসের বদলে ক্রিস মরিসের খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশকে কোনও মতেই খাটো করে দেখতে চাইছেন না কুইন্টন ডি কক, রাবাডারা।