প্রস্তুতি: অস্ট্রেলিয়ার নেট সেশনে শন মার্শ এবং ম্যাক্সওয়েল। গেটি ইমেজেস
শেষ ম্যাচে দুর্দান্ত জয় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। এবং তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। আজ, শনিবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জয় ধরে রাখতে পারলে শেষ চারের পথ অনেক মসৃণ হয়ে যাবে তাঁদের।
কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ মনে করেন, তাঁরা যে ধরনের সেরা ক্রিকেট খেলার ক্ষমতা রাখেন, এখনও তার ধারেকাছে যেতে পারেনি দল। এ বার সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে হবে। ফিঞ্চ বলেছেন, ‘‘সে ভাবে দেখতে গেলে আমরা এখনও সেরা ক্রিকেট খেলতে পারিনি। তবে মনে হচ্ছে সেটা এক দিক থেকে ভাল হয়েছে। সকলে অনেক বেশি সতর্ক থেকে বাকি ম্যাচগুলিতে খেলতে পারবে।’’ সেখানেই না থেমে ফিঞ্চ আরও বলেছেন, ‘‘এই মুহূর্তে ছয় পয়েন্ট পেয়েছি আমরা। তবে তা নিয়ে আত্মতুষ্ট হওয়ার প্রয়োজন নেই। ধীরে ধীরে দল আবার পুরনো ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছে।’’
ভারতের বিরুদ্ধে হারের প্রসঙ্গে ফিঞ্চ বলছেন, ‘‘সমস্ত প্রতিপক্ষ তো এক ধরনের ক্রিকেট খেলে না। ভারত যেমন স্পিনে নির্ভর করে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ আস্থা রাখে পেস বোলিংয়ে। এই পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার কাজটা খুব সহজ নয়।’’ তবে ফিঞ্চ এও শুনিয়ে দিয়েছেন, দলের বোলিং নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিনি নিজেই হাত ঘুরিয়ে তুলে নিয়েছিলেন মহম্মদ হাফিজ়ের উইকেট। অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘আমি তো বাকি বোলারদের চাপমুক্ত রাখতে হাত ঘুরিয়ে ছিলাম। আমি ভাল বল করতেই পারি না। ভাগ্যবান বলেই হাফিজ়ের উইকেট পেয়েছিলাম।’’
ফিঞ্চ জানিয়েছেন, দলে চার স্পেশালিস্ট বোলার থাকায় পঞ্চম বোলার হিসেবে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং নিজেকে দরকারে ব্যবহার করতে পারছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে ভাল কিছু করতে হলে ভাল ব্যাটিং অলরাউন্ডারের প্রয়োজন। সেটা ম্যাক্সওয়েল পূরণ করে দিচ্ছে।’’
চার ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে এই মুহূর্তে পাঁচ নম্বরে শ্রীলঙ্কা শিবিরে আবার শোনা গিয়েছে অন্য সুর। শনিবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে আইসিসি-র বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে শ্রীলঙ্কা শিবির। ম্যানেজার অসন্থ দে মেল জানিয়েছেন, তাদের যেমন খারাপ পিচ দেওয়া হচ্ছে, তেমনই খারাপ বাস দেওয়া হচ্ছে। হোটেলে নাকি সুইমিং পুলের ব্যবস্থাও নেই। তিনি বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপে প্রত্যেক দলকে সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কিন্তু আমরা কোনও সুবিধাই পাচ্ছি না। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের জন্য ওভালে যে পিচ বানানো হয়েছে তা সবুজ। অথচ বড় দলগুলো শুকনো পিচে খেলার সুযোগ পাচ্ছে।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘যে হোটেল দেওয়া হয়েছে তাতে সুইমিং পুল নেই। বাসে ভাল ভাবে বসার জায়গা নেই।’’ শ্রীলঙ্কার অভিযোগ খারিজ করে আইসিসি-র বিবৃতি, ‘‘কোনও দলকে আলাদা করে দেখা হয় না। আইসিসি এই নীতিতে বিশ্বাস করে না। এ ধরনের
অভিযোগ ভিত্তিহীন।’’
এ দিকে, অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে আবার মেনে নিয়েছেন, তাঁর দলে সীমাবদ্ধতা এতটাই বেশি যে, বড় দলের বিরুদ্ধে পাল্লা দিয়ে লড়াই করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘‘ইচ্ছা করলেই আমরা ভারতের মতো আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে পারি না। সেই শক্তি এই দলে নেই। ফলে আমাদের সমস্ত দিক বিবেচনা করে ভারসাম্য বজায় রেখে প্রথম একাদশ তৈরি করতে হয়।’’ যোগ করেছেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিধর প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে পাল্লা দিয়ে লড়ার চেষ্টা করতে হবে।’’