এ বার নিয়ে চতুর্থ বার বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ড। এই ইংল্যান্ড দলে অধিনায়ক-সহ সাত-সাত জন ক্রিকেটার রয়েছেন, যাঁদের শিকড় অন্য দেশে। এ সব দেখে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, এ কি বিশ্ব একাদশ? নাকি ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ একাদশ? জেনে নিন, তাঁদের পরিচয়।
ইংল্যান্ড অধিনায়ক অইন মরগ্যান ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের হয়ে বিশ্বকাপ খেলেন। ২০০৯ সাল থেকে তিনি ইংল্যান্ডের হয়ে খেলা শুরু করেন। পরপর ৩টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের হয়ে তিনি প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
বিধ্বংসী ওপেনার জেসন রয়। দক্ষিণ আফ্রিকায় তাঁর জন্ম। ২০১৪ সাল থেকে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলছেন রয়। তাঁর বিধ্বংসী ব্যাটিং ইংল্যান্ডকে ফাইনালে তুলেছে। ইংল্যান্ডের এই ওপেনারের উপরে ভরসা করে রয়েছে পুরো দল।
অলরাউন্ডার হিসেবে বিখ্যাত বেন স্টোকসের জন্ম নিউজিল্যান্ডে হলেও বর্তমানে ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার তিনি। ২০১১ সাল থেকে ইংল্যান্ডের হয়ে নিয়মিত খেলছেন স্টোকস।
নির্ভরযোগ্য অলরাউন্ডার মইন আলি। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এই ক্রিকেটারের ব্যাট ও বলের দিকে তাকিয়ে ইংল্যান্ড। ২০০৬ সালে অনূর্ধ্ব ১৯ দলকে নেতৃত্ব দেন মইন। সে বার ইংল্যান্ড শেষ চারে পৌঁছেছিল। টেস্ট ক্রিকেটে গ্রেম সোয়ানের জায়গা নেন মইন।
মইন আলির সঙ্গী আদিল রশিদও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডের হয়ে আত্মপ্রকাশ ঘটে আদিলের। এখন তিনি ইংল্যান্ডের অন্যতম ভরসা।
অইন মর্গ্যানের হাতের অন্যতম তাস জোফ্রা আর্চার। চলতি বছরের মে মাসে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের হয়ে প্রথম খেলেন আর্চার। এখন তিনি দলের অন্যতম ভরসা।
বাবা খেলেছেন এক দেশের জার্সিতে। ছেলে খেলছেন অন্য দেশের হয়ে। এমন প্রোফাইল রয়েছে ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার টম কুরানের। টমের বাবা কেভিন কুরান খেলেছিলেন জিম্বাবোয়ের হয়ে। ২৪ বছরের অলরাউন্ডার টম ১৭টি ওয়ানডেতে ১৭৮ রান করেছেন। উইকেট-সংখ্যা ২৭। দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে জন্মানো টম এখন বিশ্বের অন্যতম তরুণ প্রতিভা।