সেই ইংল্যান্ড সমর্থক। ছবি: টুইটার
এমনিতেই অ্যাশেজের চতুর্থ ম্যাচ হেরে মন খারাপ ইংরেজদের। তাদের সেই ক্ষতে এ বার আরও খানিকটা নুন ঢালল স্বয়ং আইসিসি।
চলতি অ্যাশেজ স্টিভ স্মিথের জন্যই স্মরণীয় হয়ে থাকবে ক্রিকেট ভক্তদের কাছে। তিন ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ৬৭১ রান, গড় ১৩৪.২০। কিন্তু বার বার দেখা যাচ্ছে,ইংরেজ ক্রিকেট ভক্তদের স্মিথের কান্নার মুখোশ পড়ে মাঠে আসতে। এই কান্নার মুখ দেখা গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায় স্যান্ডপেপার কেলেঙ্কারির পরে তাঁকে দল থেকে এক বছরের জন্য নির্বাসিত করার পর। ক্রিকেট জীবনের সেই কালো দাগ মনে করিয়ে দিতেই ইংরেজ ফ্যানরা বার বার এই মুখোশ পরে মাঠে আসছিলেন। চতুর্থ টেস্টেও দেখা যায় তাঁদের এই কাণ্ড করতে।
কোনও দলের কিছু উগ্র সমর্থক তাও না হয় এমন করতে পারেন। কিন্তু ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা হয়ে আইসিসি কীকরে ট্রোল করে একটি দলকে? প্রশ্নটা উঠছে আইসিসি-র অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে থেকে সাম্প্রতিক একটি টুইটের পর থেকে। মুখোশ পরে মাঠে আসা এক ইংরেজ ফ্যানের থমথমে মুখ পোস্ট করে আইসিসি টুইট করে ‘করমা’। তার নীচে লিখে দেয় ‘করমা’ কথার অর্থও।
আরও পড়ুন: স্মিথ-কামিন্স যুগলবন্দিতে অ্যাশেজ অস্ট্রেলিয়ারই
তবে এই প্রথম নয়, আইসিসি-র এই অ্যাকাউন্ট থেকেই এর আগে ট্রোল করা হয় ডেভিড ওয়ার্নারকে। এ বারের অ্যাশেজে সেই ভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি অজি ওপেনার। চতুর্থ টেস্টে তিনি দুই ইনিংসেই শূন্য করে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে ইংরেজ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে ব্যাট ছুঁইয়ে কিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। সেই নিয়ে আইসিসি ট্রোল করে তাঁকে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার একটি টুইটকে রিটুইট করে ট্রোল করা হয়।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে আস্থা হয়তো ঋদ্ধিতে
বার বার অফিসিয়াল পেজ থেকে ট্রোল করা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তবে মজাও পেয়েছেন অনেকে। কিন্তু ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার পেজ কী ভাবে ট্রোল করতে পারে সেই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। অনেকে আবার প্রশ্ন করেছেন, হ্যাক হয়ে যায়নি তো অ্যাকাউন্টটি? তবে এখনও অবধি আইসিসির তরফ থেকে জানানো হয়নি অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়েছে বলে।
ইতিমধ্যেই সিরিজে ২-১ এগিয়ে গিয়েছে অজিরা। তাঁদের আর অ্যাশেজ হারের ভয় রইল না। গত বারও তারা অ্যাশেজ জেতায় ট্রফি থাকবে তাদের কাছেই। এখন দেখার শেষ ম্যাচ জিতে মান রক্ষা করতে পারে কিনা ইংরেজ বাহিনী।