ছন্দে: রিয়ালের তৃতীয় গোলের পরে উচ্ছ্বাস বেঞ্জেমার। রয়টার্স
কাদিসকে ৩-০ হারিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ লা লিগার পয়েন্ট টেবলে এক নম্বরে উঠে এসেছিল বুধবার। প্রস্তাবিত ইউরোপীয় সুপার লিগের জন্ম ও মৃত্যুর তিন দিনের মধ্যে করিম বেঞ্জেমারাও ফিরলেন ছন্দে। রিয়াল চেয়েছিল সুপার লিগে খেলতে। চাননি ক্লাব-সমর্থকরা। মাদ্রিদে স্টেডিয়ামের বাইরে তাঁরা বিক্ষোভও দেখান। কিন্তু মাঠে জ়িনেদিন জ়িদানের ফুটবলারদের খেলায় তার বিন্দুমাত্র প্রভাব দেখা যায়নি। প্রথমার্ধেই তিন গোল করে রিয়াল কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে কাদিসকে।
জোড়া গোল করেছেন করিম বেঞ্জেমা। প্রথমটা পেনাল্টিতে। এমনকি রিয়ালের দ্বিতীয় গোল আলভারো অদ্রিয়োজ়োলা করেন ফরাসি তারকার ক্রস থেকেই। রিয়ালের খেলা দেখে মনেই হয়নি গত রবিবার তারা খেতাফের সঙ্গে ০-০ ড্র করেছিল। এই মুহূর্তে রিয়াল লা লিগা জয়ের দৌড়ে ভাল মতোই আছে। লড়াইটা মূলত চার ক্লাবের মধ্যে। রিয়ালের পয়েন্ট এখন ৩২ ম্যাচে ৭০। বুধবার একই পয়েন্টে থাকা আতলেতিকো দে মাদ্রিদকে ছাপিয়ে তারা এক নম্বরে উঠে এসেছিল মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে থাকায়। লুইস সুয়ারেসরা অবশ্য একটা ম্যাচ কম খেলেছিল। তিন ও চারে ছিল সেভিয়া (৩২ ম্যাচে ৬৭ পয়েন্ট) ও বার্সেলোনা (৩০ ম্যাচে ৬৫ পয়েন্টে)। ফুটবল মহল মনে করছে, এ বার রিয়াল বার বার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে মূলত বেঞ্জেমার জন্যও। কাদিসের বিরুদ্ধে ৩০ মিনিটে ঠান্ডা মাথায় তিনি পেনাল্টি থেকে গোল করেন। তিন মিনিট পরেই অদ্রিয়োজ়োলাকে নিখুঁত ক্রস পাঠান। যা থেকে ২-০ হয়। আর ৪০ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন
কাসেমিরোর ক্রস থেকে।
এ দিকে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের আগে ছন্দে প্যারিস সাঁ জারমাঁ (পিএসজি)। বুধবার ফরাসি কাপে তারা অঁজেকে ৫-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠল। কিলিয়ান এমবাপে গোল না পেলেও হ্যাটট্রিক করলেন মাউরো ইকার্ডি। একটা উঁচু বলে ভলি মেরে তিনি নিজের হ্যাটট্রিকের গোলটি করেন খেলার একেবারে শেষ সেকেন্ডে। এ দিকে লিয়ঁকে ২-০ হারিয়ে শেষ চারে উঠেছে মোনাকোও।
পিএসজি ও মোনাকো— দু’দলের কাছেই ঘরোয়া আসরে এ বার দ্বিমুকুট জয়ের সুযোগ। প্রসঙ্গত ফরাসি লিগ ওয়ানে রবিবারই এমবাপেদের ক্লাব ৩-২ হারায় সাঁত এতিয়েনকে। সেই ম্যাচেও সংযুক্ত সময়ে ইকার্ডি হেড থেকে জয়ের গোলটি করেছিলেন। এই মরসুমে তিনি ২১ ম্যাচে ১১ গোল করলেন। দু’বছর আগে ইন্টার মিলান থেকে প্যারিসের ক্লাব আসার পরে ৫৫ ম্যাচে তাঁর গোল ৩১টি। ইন্টার মিলানে আবার তিনি ২১৯ ম্যাচে ১২৪ গোল করেছিলেন।