একই ফ্রেমে দু’ দেশের কোচ ও ক্যাপ্টেন। বাঁ দিকে ডেমি ডে ও জামাল ভুঁইয়া। ডানে ইগর স্তিমাচ ও সুনীল ছেত্রী। ছবি— এএফপি।
বিশ্বকাপের যোগ্যতা পর্বে কাতারকে থামানোর পর থেকেই ভারতকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন দেশের ফুটবলভক্তরা। মঙ্গলবার ভারতের সামনে বাংলাদেশ। টিকিটের চাহিদা আকাশচুম্বী। ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করে দিয়েছে।
সুনীল ছেত্রীদের জন্য গলা ফাটাবে যুবভারতী। র্যাঙ্কিংয়ের দিক থেকে ভারত অনেকটাই এগিয়ে। বাংলাদেশের র্যাঙ্কিং ১৮৭। ২০১৮ সালের মে থেকে ১৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে তারা। এর মধ্যে মাত্র সাতটিতে জিতেছেন জেমি ডে-র ছেলেরা। আফগানিস্তান ও কাতারের কাছে হেরে কলকাতায় এসেছে বাংলাদেশ। পয়েন্ট টেবলেও সবার নীচে তারা।
বিশ্বকাপের যোগ্যতা পর্বে সুনীলদের প্রথম জয় পাওয়াটা তবে কি কেবল সময়ের অপেক্ষা? প্রশ্নটা উড়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই ভারতের ক্রোয়েশিয়ান কোচ ইগর স্তিমাচ বলে ওঠেন, ‘‘বাংলাদেশকে খাটো চোখে দেখা উচিত নয়। কাতারের বিরুদ্ধে ওদের ম্যাচ দেখেছি। সে দিন ভাগ্য সহায় হলে ম্যাচটা জিততেও পারত বাংলাদেশ। ওরা এখানে মোটেও হারার জন্য আসেনি। কয়েক বছরে ওদের ফুটবল অনেকটাই এগিয়েছে।’’ স্তিমাচের এ হেন মন্তব্য শুনে বাংলাদেশের কোচ জেমি ডে অভিভূত। বললেন, ‘‘বড় মাপের ফুটবলারের পাশাপাশি স্তিমাচ বড় মনের মানুষও।’’
আরও পড়ুন: মধ্যরাতের নাটক! হেরে যেতে যেতেও কী ভাবে ঘুরে দাঁড়ালেন সৌরভ
এশিয়াসেরা কাতারের ঘরের মাঠে গিয়ে ড্র করে এসেছে ভারত। চোট পাওয়ায় সন্দেশ ঝিঙ্ঘানকে পাওয়া যাবে না। তাঁর জায়গায় নতুন ডিফেন্স নামাতে হবে স্তিমাচকে। সুনীলদের ‘হেডস্যর’ বলছেন, ‘‘চল্লিশ জন প্লেয়ারের নাম রয়েছে আমার ডায়রিতে। প্রত্যেকের দিকে আমার নজর রয়েছে। ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে আইএসএল। আমি সব ফুটবলারদের দেখব। বিশ্বকাপের যোগ্যতা পর্বের দিকেই শুধু আমাদের নজর নয়। ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের দিকে আমাদের লক্ষ্য। আমাদের টার্গেট সফল করার জন্য পরিশ্রম করছি।’’
আরও পড়ুন: বিজেপির হয়ে প্রচারের শর্তেই কি বোর্ড প্রেসিডেন্ট? সৌরভ বললেন...