সাদা বলের ক্রিকেটে দুরন্ত ধারাবাহিকতা দেখাচ্ছেন লোকেশ রাহুল। ছবি: এএফপি।
‘কফি উইথ কর্ণ’ অনুষ্ঠানে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য নির্বাসিত হয়েছিলেন। অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরে আসতে হয়েছিল হার্দিক পাণ্ড্যর সঙ্গে। নির্বাসন কাটিয়ে যখন জাতীয় দলে ফিরেছিলেন, তখন ব্যাট হাতে স্বার্থপর হতে চেয়েছিলেন লোকেশ রাহুল। আর সেটাই তৈরি করেছিল সমস্যা।
এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, “এখন আমার ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের জন্য বদলে যাওয়া মানসিকতাই কারণ। ২০১৯ সালের পরের দিক থেকে আমি অন্য রকম ভাবে চিন্তা করতে শুরু করি। যা ঘটেছিল তাতে নির্বাসনের পর আমি স্বার্থপরের মতো ব্যাট করতাম, নিজের জন্য খেলতাম। এটাতে যখন ব্যর্থ হলাম তখন নিজের দিকে আর আমার স্কোরগুলোর দিকে লক্ষ্য দিলাম। নিজেকে বললাম যে, এর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। দল যা চাইছে সেটাই করতে হবে।”
আরও পড়ুন: আইসিসি প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন? সৌরভ বললেন...
আরও পড়ুন: বুমরা-শামিদের পেস আক্রমণকে সর্বকালের সেরা বললেন দ্রাবিড়
নির্বাসন কাটিয়ে উঠে গত বছর ইংল্যান্ডে হওয়া বিশ্বকাপ নয় ম্যাচে ৩৬১ রান করেছিলেন তিনি। প্রথম দিকে নামতেন চারে। শিখর ধওয়ন চোট পেয়ে যাওয়ায় তার পর রোহিত শর্মার সঙ্গে শুরু করেন ওপেনিংয়ে নামতে। এখন আবার তিনি এক দিনের ক্রিকেটে নামছেন পাঁচে। সঙ্গে থাকছে উইকেটকিপার হিসেবে বাড়তি দায়িত্বও। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও এখন তিনি দলের এক নম্বর উইকেটকিপার। তবে ২০ ওভারের ফরম্যাটে তিনি নামেন ওপেনার হিসেবে। চলতি বছরের গোড়ায় নিউজিল্যান্ডে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে তিনি করেন ২২৪ রান। তিন ম্যাচের এক দিনের সিরিজে তাঁর ব্যাটে আসে ২০৪ রান।
টক শোয়ে বিতর্কের পর স্বার্থপরতায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ধীরে ধীরে টিমম্যান হয়ে উঠেছেন লোকেশ রাহুল। তাঁর কথায়, “আমরা সবাই জানি যে, আমাদের কেরিয়ার বিশাল লম্বা নয়। আমি উপলব্ধি করেছি যে, বড় জোর আর ১১-১২ বছর হাতে রয়েছে। তাই আমার সমস্ত সময় ও এনার্জি এ দিকেই দিতে হবে। টিমম্যান হয়ে উঠতে হবে। মানসিকতায় এই পরিবর্তনই কাজে এসেছে। চাপ অনেক কমিয়ে দিয়েছে। দলের পক্ষে কোনটা ভাল হবে, চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য হব কী ভাবে, এই ভাবনাই তফাত গড়েছে আমার পারফরম্যান্সে।”