কপিল-রাহুল
ভারতীয় ‘এ’ ও অর্নূধ্ব-১৯ জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে তাঁর উত্থানে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক কপিল দেবের পরামর্শ বড় ভূমিকা নিয়েছিল। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ডব্লিউ ভি রামনের ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে জানালেন রাহুল দ্রাবিড়। ভারতীয় ক্রিকেটের ‘দ্য ওয়াল’ জানিয়েছেন, কোচিংয়ে আসার আগে আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক ও কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করাটাও তাঁর কাছে আশীর্বাদের মতোই। এ জন্য নিজেকে ‘ভাগ্যবান’ বলেছেন তিনি।
দ্রাবিড়ের কথায়, ‘‘খেলা থেকে অবসর নেওয়ার সময় অনেক কিছুই করার ছিল। তখন আমি কোন পথে এগিয়ে যাব তা বুঝতে পারছিলাম না। ওই পরিস্থিতিতে কপিল দেবের পরামর্শ খুব কাজে লেগেছিল।’’ যোগ করেছেন, ‘‘কপিল বলেছিলেন, এখনই পুরোপুরি কোনও কিছুর সঙ্গে যুক্ত হয়ো না। আগামী কয়েক বছর নিজের ব্যাপ্তি বাড়িয়ে অন্য রকম কিছু করার চেষ্টা কর। দেখ, কোন কাজটা করতে তোমার ভাল লাগছে। এটা সত্যিই ভাল পরামর্শ। যা কাজে লাগে।’’
সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক দ্রাবিড় আরও বলেন, ‘‘প্রথমে ধারাভাষ্য দেওয়ার কথা ভেবেছিলাম। পরে সেখান থেকে মত পরিবর্তন করি। আসলে আমি খেলার সঙ্গে থাকতে চেয়েছিলাম। তাই কোচিংয়ের দিকে এগোই। আমার সেই স্বপ্ন পূরণ হয় যখন ভারতীয় ‘এ’ ও জাতীয় অর্নূধ্ব-১৯ দলের দায়িত্ব পাই।’’
কোচিং জীবন সম্পর্কে দ্রাবিড়ের উপলব্ধি, ‘‘মনে হয়েছিল, এটাই এগিয়ে যাওয়ার সেরা রাস্তা। বাচ্চাদের কোচিং করিয়ে মানসিক ভাবেও তৃপ্তি পেয়েছি আমি।’’
বেঙ্গালুরুতে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত দ্রাবিড় তাঁর ক্রিকেটার জীবনে বিখ্যাত ছিলেন নিখুঁত টেকনিকের জন্য। কিন্তু তিনিও যে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছেন এক সময়ে, সাক্ষাৎকারে সে কথাও জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘‘১৯৯৮ সালে ভারতীয় ওয়ান ডে দল থেকে বাদ পড়ে এক বছর জাতীয় দলের বাইরে ছিলাম। সে সময়ে মনে হত, ওয়ান ডে ক্রিকেটে সফল হওয়ার মতো দক্ষতা আমার আছে কি না।’’
এক বছরের মধ্যেই অবশ্য ওয়ান ডে ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন ঘটান তিনি। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে ভারতীয়দের মধ্যে সর্বাধিক ৪৬১ রান করেন দ্রাবিড়। খেলেছেন ২০০৩ বিশ্বকাপেও। আর চার বছর পরে ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে দ্রাবিড়ই ছিলেন অধিনায়ক।
পাশাপাশি নিজের শিক্ষার্থী জীবনের কথা উল্লেখ করেও দ্রাবিড় বলেন, ‘‘নিরাপত্তাহীনতার মতো সমস্যায় পড়েছি অনেক বার। যখন ছোট ছিলাম তখন রঞ্জি ট্রফি ও জাতীয় দল ছাড়া অন্য কোনও রাস্তা খোলা থাকত না। কারণ তখন আইপিএল ছিল না। খেলে অত অর্থও পাওয়া যেত না।’’ যোগ করেছেন, ‘‘পড়াশোনায় ভালই ছিলাম। কিন্তু ক্রিকেটের জন্য তা ছাড়তে হয়েছিল। ফলে ক্রিকেটে সাফল্য না পেলে কী হবে, তা ভেবেও তখন নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হত। এ সব কাটাতে পেরেছিলাম কঠোর পরিশ্রম করেই।’’
আরও পড়ুন: স্ট্রাইকারদের স্কুল: ভাইচুং বলছেন, অবাস্তব ভাবনা!