তিনি টেনিস থেকে অবসর নিয়েছেন দশ বছরেরও বেশি হয়ে গিয়েছে। টেনিস এখন আর তাঁর জীবন নয়। কিন্তু টেনিসকে দূরে ঠেলেও দিতে পারেননি। এখনও টিভি-র সামনে বসে দেখেন রজার ফেডেরারের ম্যাচ। আর দেখার পরে নিজেকে প্রশ্ন করেন, ‘‘কী করে পারে রজার?’’
তিনি আন্দ্রে আগাসি— সেই ২০০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র ওপেন ফাইনালে হেরে গিয়েছিলেন ফেডেরারের কাছে। আর জীবনের শেষ পেশাদারি ম্যাচে হারেন রাফায়েল নাদালের কাছে। তাঁর দুই ‘শত্রু’র মুখোমুখি লড়াইটা আগাসি এ বার দেখেছিলেন। দেখেছিলেন, অস্ট্রেলীয় ওপেন ফাইনালে কী ভাবে নাদালকে হারিয়েছিলেন ফেডেরার। এক ব্রিটিশ দৈনিকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে আগাসি বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয়, টেনিসকে সামান্য ভালবাসে এমন কেউ ওই ম্যাচটা না দেখে থাকতে পারবে না। আমি যতটা সম্ভব নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করেছিলাম। দু’জনেই তো টেনিসকে এত কিছু দিয়েছে। তবে এই বয়সে রজারের আরও একটা গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয় দেখাটা কিন্তু সত্যি দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল।’’
ফেডেরারকে দেখার পরে আগাসি মনে করছেন, তিনি আর কোনও কিছুতেই অবাক হবেন না। আগাসি বলছিলেন, ‘‘রজারকে দেখে আমি এখনও মুগ্ধ হই, কিন্তু আর বিস্মিত হই না। ওর কাছ থেকে এখন কোনও কিছুই অপ্রত্যাশিত নয়।’’ আর নাদাল? আগাসির জবাব, ‘‘নাদাল নিজের খেলার মধ্যে এতটা শারীরিক শক্তি প্রয়োগ করে, যে আমি ভেবেছিলাম এই বয়সে আর চোটের ধাক্কা সারিয়ে ও ফিরতে পারবে না। কিন্তু নাদাল আমাকে ভুল প্রমাণিত করেছে।’’ আগাসি স্বীকার করে নিচ্ছেন, তিনি টেনিসকে যতই ভালবাসুন না কেন, ফেডেরারের মতো বয়সে কিছুতেই কোর্টে নামতে পারতেন না।