রাফায়েল নাদাল
চোটের কারণে মাঝে বছর দু’য়েক নিষ্প্রভ ছিলেন। দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন এ বছরে। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ফের উঠে এসেছেন এক নম্বরে।
• চলতি বছরে: গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফরাসি ওপেন জিতেছেন, অস্ট্রেলীয় ওপেনে ফাইনালে হারেন রজার ফেডেরারের কাছে। খেতাব জেতেন মন্তে কার্লো, বার্সেলোনা ও মাদ্রিদে।
• ফ্লাশিং মেডোজে সেরা: দু’বারের বিজয়ী (২০১০, ২০১৩)।
রজার ফেডেরার
বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে এখন তিন নম্বরে। কিন্তু বরাবরের মতোই মানুষের হৃদয়ে এক নম্বরে রয়েছেন। বাতিল থেকে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন তিনি।
• চলতি বছরে: দু’টো গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন। অস্ট্রেলীয় ওপেন, উইম্বলডন। ইন্ডিয়ান ওয়েলস, মায়ামি, হ্যালেও ট্রফি জিতেছেন।
• ফ্লাশিং মেডোজে সেরা: পাঁচ বার জিতেছেন (২০০৪-২০০৮)।
অ্যান্ডি মারে (শেষ মুহূর্তে সরে গেলেন)
বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে এখন দুই নম্বরে। তবে গত এক বছর ধরে আশ্চর্যজনক ভাবে ফর্মে নেই। জকোভিচ এবং তিনি দু’জনেই পিছিয়ে পড়েছেন।
• চলতি বছরে: একটিও গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিততে পারেননি। খেতাব জিতেছেন একমাত্র দুবাইয়ে। পশ্চাৎদেশে চোট ভুগিয়ে চলেছে বলে পন্ডিতদের মত।
• ফ্লাশিং মেডোজে সেরা: এক বার জিতেছেন (২০১২)।
অনুপস্থিত তারকা
নোভাক জকোভিচ (দু’বারের চ্যাম্পিয়ন), স্ট্যান ওয়ারিঙ্কা (গতবারের বিজয়ী), মিয়োস রাওনিচ।
ডার্ক হর্স
শারাপোভার প্রাক্তন প্রেমিক এবং ‘বেবি ফেডেরার’ হিসেবে খ্যাত গ্রিগর দিমিত্রভ ছন্দ খুঁজে পাচ্ছেন। সিনসিনাচিতে নাদালকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠা নিক কিরিয়সকে নিয়ে আশাবাদী অনেকে।
মেয়েদের বিভাগে
ক্যারোলিনা প্লিসকোভা
• এক নম্বর র্যাঙ্কিং পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় নামছেন। জিতলে ফিরে পাবেন। গত বারের ফাইনালিস্ট। হেরেছিলেন কের্বেরের কাছে।
গারবিনে মুগুরুজা
• উইম্বলডনের বিজয়িনী গত বার এখানে দ্বিতীয় রাউন্ডে হেরেছিলেন। সিনসিনাটিতে জিতে আসছেন। মহিলা বিভাগে সেরা এখন তিনিই।
সিমোনা হালেপ
• ২০১৫ যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে সেমিফাইনালিস্ট। কখনও গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতেননি। মানসিক ভাবে শক্তিশালী থাকাটাই তাঁর আসল পরীক্ষা।
বিশেষ আকর্ষণ
• মারিয়া শারাপোভা: ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে নির্বাসিত হওয়ার পর এই প্রথম কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যামে খেলবেন। শেষ চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যামে সাত জন বিভিন্ন ফাইনালিস্ট খেলেছেন। বিশ্বের নজর রুশ সুন্দরীর প্রত্যাবর্তনের দিকে থাকবে।